অ্যাকটিভ স্মার্ট কোণ মেহেদী দিয়ে নারীর ফোসকা
মানিকগঞ্জের এক নারী দোকান থেকে মেহেদী কিনে হাত রাঙানোর পরের দিন দুই হাত ফুলে যায় ও ফোস্কা পড়ে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ভালো হয়। তিনি স্মার্ট অ্যাকটিভ কোণ নামের সেই মেহেদী বাজারজাত কোম্পানির বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তরের লিখিত অভিযোগ করেন। ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে একলাখ টাকা জরিমানা করেছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, গত ২৭ আগষ্ট অনন্যা আলম নামে এক নারী মানিকগঞ্জ শহরের তিপ্তি প্লাজা মার্কেটের ভাই ভাই কসমেটিকস থেকে স্মার্ট অ্যাকটিভ কোণ নামের মেহেদ ক্রয় করেন। পরে ওই মেহেদী হাতে দেওয়ার পর ওই নারীর হাত ফুলে যায় ও ফোস্কা পড়ে যায়। ওই নারী ৩১ আগস্ট জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর স্মার্ট অ্যাকটিভ কোণ মেহেদীর বিক্রেতা, পরিবেশকসহ অভিযোগকারীর উপস্থিতিতে প্রথম দফায় শুনানি গ্রহণ করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। ভোক্তা অধিকারের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এর নির্দেশে স্মার্ট অ্যাকটিভ কোণ মেহেদীর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাসমিয়া কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিস লি. কে মঙ্গলবার দুপুরে শুনানির জন্য ডাকা হয় এবং শুনানিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভুক্তভোগীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে সম্মত হন।
ওই মেহেদীর মোড়কে পণ্যের উপাদান এবং ব্যাবহারবিধি উল্লেখ না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ এর সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী- অভিযোগকারী অনন্যা আলম আরোপিত জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের কাছ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রহণ করেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত