আজ যেসব সিদ্ধান্ত জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
সাধারণ মানুষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকে আরও উৎসাহিত করতে ৬ অক্টোবরকে ‘জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস’-এর পরিবর্তে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এ দিন দুপুরে সচিবালয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভা বৈঠক। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এতে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা যোগ দেন সচিবালয় থেকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দিবসটি উদযাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকার এতদ্বিষয়ক পরিপত্রের ‘গ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন হয়।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবটি অনুমোদনের কারণ ব্যাখ্যায় সচিব বলেন, ‘এসজিজির একটা লক্ষ্যমাত্রা আছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের ৮০ শতাংশ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কমপ্লিট করতে হবে। ওয়ান অব দ্য টার্গেট।’
সাধারণ মানুষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়ে এ সিদ্ধান্ত বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর ৮ ধারা অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন এবং কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে। এটাকে আরও ইফেক্টিভ করার জন্য দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ আরও উদ্বুদ্ধ হয়।’
সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ক্যাবিনেটকে একটা ইনিশিয়েটিভ নিয়ে একটা কোঅর্ডিনেশন যেন করা হয়।’
সিটি করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা। ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রারও আছে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না সিদ্ধান্ত হয়নি। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানাবে। ওনারা এটা নিয়ে আলোচনা করছে কীভাবে এটা করা যায়। আগে তো ভ্যাকসিনেশন তারা জোরদার করছে। যাতে ছাত্রদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া যায়। তারপরে দেখা যাক। সেটা ওনারা আপনাদের ব্রিফ করবে।’
ভ্যাকসিনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী সেদিন বৈঠক শেষে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। হেলথ মিনিস্ট্রি এ বিষয়ে আপনাদের ব্রিফ করবে। এটা আজকের মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি।’
বিধিনিষেধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিনোদন কেন্দ্র এবং গ্যাদারিংয়ের পারমিশন দেওয়া হয়নি।’
অর্ধেক গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে সাজেশন দেওয়া হয়েছে অন্তত কিছুদিন আপনারা এটা করে দেন। জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি, পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে বসে ঠিক করে দেবে যতগুলো বাস আছে অর্ধেক আজকে চলবে, পরের দিন বাকি অর্ধেক চলবে।’ তিনি বলেন, ‘এটা মেইনলি আন্তঃজেলা বাসের জন্য। বাইরে থেকে কম সংখ্যক বাস যাতে আসে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রসাশক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শ্রমিক ইউনিয়নের মালিক শ্রমিক যারা আছে তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা একটা পদ্ধতি বের করবে। বেইজিংয়ে আমি দেখেছি এমন।’
অর্ধেক বাস চলার ফলে আরেও বেশি সমস্যা তৈরি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘একঙ্গে বেশি গাড়ি যেন ঢাকা বা চট্টগ্রামের দিকে না ঢোকে। এটা লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিদ্ধান্ত নেবে। সিটির ক্ষেত্রেও মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মালিক সমিতি সিদ্ধান্ত নেবে। কোনও কিছু ভায়োলেশন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। সবকিছু আমরা লোকাল অ্যামিনিস্ট্রেশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত