ঈদের ছুটি তিন দিন হলে পদে পদে ভোগান্তি
রবিউল ইসলাম চাকরি করেন সচিবালয়ে। একটা মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক তিনি। বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায়। স্বাভাবিক সময়ে বাসে ঢাকা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের বাড়ি যেতে সময় লাগে ১২ ঘণ্টা। ঈদে কতক্ষণ লাগবে জানেন না তিনি।
এমন অনেকবার হয়েছে যে, রবিউল ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় গাবতলী থেকে বাসে উঠেছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে নেমেছেন ঈদের দিন বিকেলে। ২০ ঘণ্টা বাসে বসে থাকতে হয়েছে। কোনোরকমে রাত পার করে পরদিন আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ঈদের ছুটি তিন দিন হলে এ ভোগান্তিতে পড়তে হয় রবিউলদের। বুধবার (২৭ এপ্রিল) দেশ রূপান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন আশরাফুল হক।
রবিউলের মতো রাজধানীবাসীর ভোগান্তিতে কিছু যায় আসে না নীতিনির্ধারকদের। অথচ যারা ঈদে বাড়ি যান তারা যেমন দীর্ঘ ছুটি চান, একইভাবে যারা ঈদে বাড়ি যান না, ঢাকায় থাকেন তারাও চান ছুটি বাড়ুক। তারা মনে করেন, ঈদের ছুটিতে অতিভারাক্রান্ত নগরীর পরিবেশ ভালো থাকে। তাই ছুটি লম্বা হলে নগরীর সুন্দর পরিবেশে তারা কয়েকটা দিন আরামে কাটাতে পারেন।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা যখন জুনিয়র পদে চাকরি করেন তখন লম্বা ছুটির পক্ষে থাকেন।
কিন্তু তারা যখন নীতিনির্ধারক হয়ে যান তখন ব্যক্তিগতভাবে আর বেশি ছুটির পক্ষে থাকেন না। তারা সরকারের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীদের বোঝাতে চেষ্টা করেন, বেশি দিন ছুটি দিলে কর্মহীনতার সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সময়সূচি অনুযায়ী ২ বা ৩ মে দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদ হবে ২ মে, ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদ হবে ৩ মে।
মন্ত্রিসভা অনুমোদিত চলতি বছরের ছুটির তালিকা অনুযায়ী, আগামী ২ থেকে ৪ মে তিন দিন ঈদের ছুটি নির্ধারিত আছে। তার আগে ১ মে রবিবার শ্রমিক দিবস বা মে দিবসের ছুটি। এর আগে ২৯ ও ৩০ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে এবার মূলত ঈদের ছুটি শুরু হবে ২৯ এপ্রিল।
ঈদের ছুটি শেষ হবে ৪ মে বুধবার। ৫ মে বৃহস্পতিবার অফিস খোলা। এরপর ৬ ও ৭ মে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ৫ মে নির্বাহী আদেশে ছুটি দেওয়া হলে টানা ৯ দিনের ছুটি পাবেন চাকরিজীবীরা। তবে এরই মধ্যে আগামী ৫ মে বৃহস্পতিবারের ছুটির বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম বলেন, সরকারি কর্মচারীদের অপশনাল (ঐচ্ছিক) ছুটির একটা বিষয় আছে। যারা বৃহস্পতিবার ছুটি নেবেন, তারা ধারাবাহিকভাবে ছুটিটা ভোগ করতে পারবেন। যিনি ছুটি নেবেন না, তাকে তো ওইদিন অফিস করতে হবে। কেউ যদি ৫ মে ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত থাকেন তবে আগে বা পেছনের সব ছুটি তার নিজস্ব ছুটি থেকে কাটা যাবে।
মহামারীর কারণে গত দুই বছর সরকারের কর্মচারীদের সুযোগ ছিল না ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার। কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হওয়ার কারণে ঈদে ঢাকা ছাড়ার হিড়িক লাগবে। হুড়োহুড়ি করে বাড়ি যেতে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রত্যেক ইংরেজি বর্ষ শুরু হওয়ার আগে মন্ত্রিসভা ছুটির তালিকা অনুমোদন করে। সেই তালিকাই সব সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা অনুসরণ করে। তালিকার বাইরে গিয়ে নির্বাহী আদেশে সরকার ছুটি দিতে পারে। গত ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বৈঠকই ঈদের আগে মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক। তাই সাংবাদিকরা মনে করেছিলেন, ছুটির বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হতে পারে। এক দিন ছুটি বাড়ালে টানা ৯ দিনের ছুটি মিলবে বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও একধরনের উত্তেজনা ছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে ছুটির বিষয়টি তোলা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ছুটি নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়নি।
ছুটি নিয়ে গত বৈঠকে আলোচনা না হলেও বিষয়টি উঠেছিল ২০১৫ সালের ২ নভেম্বরের মন্ত্রিসভা বৈঠকে। ওইদিন এজেন্ডায় ছিল পরের বছরের ছুটির তালিকা অনুমোদনের বিষয়টি। ওইদিনের বৈঠকে ঈদের ছুটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন করার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীদের কোনো বক্তব্য আছে কি না জানতে চান। ওই সময় তৎকালীন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু কথা বলতে চান। সুযোগ পেয়ে তিনি বলেন, ঈদের সময় সরকারি ছুটি বাড়ানো যেতে পারে। এতে করে একদিকে মানুষ শহর ছেড়ে বের হওয়ার ঝক্কিঝামেলা থেকে রক্ষা পাবে। সড়কের ওপর চাপ কমবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। মানুষও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করে কর্মস্থলে ফিরতে পারবে। তিন দিনের ছুটি বাড়িতে যেতে-আসতেই শেষ হয়ে যায়। সবাই একসঙ্গে বের হতে গিয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন ওই সময়ের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনিও বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ভাবনার সুযোগ রয়েছে বলে অভিমত জানান। এ সময় অন্য মন্ত্রীরাও ছুটি বাড়ানোর পক্ষেই মতামত দেন। তারা বৈঠকে বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটির রেওয়াজের কথা তুলে ধরেন। এ সময় আলোচনায় উঠে আসে চীনের বসন্ত উৎসবের কথা। চীনা নববর্ষ এবং বসন্ত উৎসবে টানা ১৫ দিন ছুটি দেওয়া হয়। আর ইউরোপ-আমেরিকা জুড়ে ক্রিসমাসের ছুটিও প্রায় দুই সপ্তাহের।
মুজিবুল হক চুন্নু ছুটি দেওয়ার একটা ফর্মুলাও দেন মন্ত্রিসভা বৈঠকে। ঈদে যে ছুটি দেওয়া হবে তা বের করা হবে সাপ্তাহিক ছুটি থেকে। রোজার মাসের চার শনিবার অফিস খোলা থাকবে। এ চার শনিবারের ছুটি দেওয়া হবে ঈদের সময়। তাহলে তিন দিনের সঙ্গে চার দিন যোগ করে ঈদের ছুটি দাঁড়াবে সাত দিন। এতে মানুষ পর্যাপ্ত ছুটি পাবে।
মন্ত্রীদের আলোচনায় অংশ নেন সচিবরাও। ওই বৈঠকে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, ঈদের ছুটি বাড়ানো হলে তার একটা ভালো প্রভাব পড়বে প্রশাসনে। পরিকল্পনামাফিক সবকিছু করা যাবে। আলোচনার এ পর্যায়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, আগামী বছরের (২০১৬) ঈদের ছুটি নিয়ে ভাবনা নেই। কারণ শবেকদর এবং ঈদের ছুটির মাঝখানে শুক্রবার পড়েছে। এ কারণে শবেকদর আর ঈদের ছুটি মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটি হবে। আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে এবার তো ব্যবস্থা আছেই। বিষয়টি নিয়ে পরেও ভাবা যাবে।’
এরপর আর কেউ বিষযটি নিয়ে ভাবেননি। গত সোমবার যোগাযোগ করা হলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমাদের দেশে মানুষ এত বেশি গ্রামে যায় যে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এক দিনে এত বেশি মানুষ বের হওয়ার চেষ্টা করলে এ পরিস্থিতি হবেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দে বাধা হওয়া উচিত নয়। কাজেই বিষয়টা যেন সহজ হয়, সেই চেষ্টা করতে হবে। ছুটিটা একটু বেশি হলে মানুষের হাতে বিকল্প থাকবে। তখন যার যার সুবিধামতো রওনা দিতে পারবে। ফিরে আসার ক্ষেত্রেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটানা বেশিদিন বন্ধ থাকলেও লাভ আছে। প্রত্যেক পেশাজীবীর বিশ্রাম প্রয়োজন। বিশ্রাম নিয়ে তারা নবউদ্যমে কাজে নামতে পারে। ঈদের তিন দিনের ছুটির সঙ্গে কমপক্ষে আরও দুদিন যোগ করা দরকার। পাঁচ দিনের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে একটা ভালো ছুটি পাবেন চাকরিজীবীরা।’
এর আগে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে তখনকার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় ঈদের ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় ঈদের ছুটি কীভাবে বাড়ানো যায় সে প্রস্তাব সচিবরা লিখিতভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবেন। ওই সময় সচিবরা তা পাঠালেও বিষয়টি আর কেউ এগিয়ে নেননি।
ঈদে সরকারি ছুটি ছয় দিন করাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবে ছুটি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইনোভেশন ইউনিটের প্রস্তাব অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছুটি বাড়াতে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এ প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। প্রস্তাবে ইনোভেশন ইউনিটের দেওয়া বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে বলা হয়, ঈদুল ফিতর ও আজহার ছুটিতে ঢাকা ও অন্য বড় শহর থেকে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীসহ বেশিরভাগ মানুষ ঈদ উদযাপনের জন্য গ্রামের বাড়ি বা নিজ শহরে যান। কিন্তু ছুটি সীমিত থাকায় পরিবহনের ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ, দুর্ঘটনা বৃদ্ধিসহ দূরপাল্লার যাত্রাপথে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মারাত্মক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানিও ঘটে। আবার ঈদ শেষে অফিস খোলার পরবর্তী দু-এক দিন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ে কর্মচারীরাও ঠিকমতো উপস্থিত থাকেন না। সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন প্রধান ধর্মীয় উৎসবের সময় সরকারি ছুটি বাড়ানো হলে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে। পাশাপাশি ছুটি বাড়লে উৎসবের আগে ও পরে যাত্রাপথে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমবে। উৎসব পালনও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে।
এসব বিবেচনায় নৈমিত্তিক ছুটি বিদ্যমান ২০ থেকে কমিয়ে ১৪ দিন করে বাকি ছয় দিন দুই ঈদের ছুটির সঙ্গে তিন দিন করে সমন্বয় করতে প্রস্তাব করা হয়। তবে সে ক্ষেত্রে ঈদের সঙ্গে ঐচ্ছিক ছুটি বাতিল হবে। এছাড়া অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের সরকারি ছুটির সঙ্গে দুদিন করে চার দিন ঐচ্ছিক ছুটির প্রস্তাব করা হয়। ঈদে ছুটি বাড়ানো হলে মোট ছুটির সময় ঠিক থাকবে। ফলে সরকারি কাজের জন্য সময় কমবে না। এতে সরকারি কাজেরও ক্ষতি হবে না। অন্য ধর্মের মানুষদের জন্যও ছুটির ভারসাম্য থাকবে।
সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘ঈদের সময় যা ঘটে তা অচিন্তনীয়। কিন্তু তাই ঘটছে। স্বাভাবিক সময়ের ১০ গুণ বেশি মানুষ শহর থেকে বের হচ্ছে। এমনিতে হয়তো দিনে ১০ থেকে ২০ লাখ মানুষ শহর থেকে বের হচ্ছে। কিন্তু ঈদে সেটা এক কোটিতে পৌঁছে যায়। বাস, ট্রেন, লঞ্চ, উড়োজাহাজের পাশাপাশি মানুষ ট্রাকে, মোটরসাইকেলে, ট্রলারে, টমেটমে চড়ে বাড়ির উদ্দেশে ছোটে। তিন দিনের ছুটি হলে এটা ম্যানেজের বাইরে চলে যায়। কারণ হাইওয়েতে একটা অ্যাক্সিডেন্ট হওয়া মানে ওই হাইওয়ে বন্ধ। কখন সেটা চালু হবে তা বলা যায় না। এজন্য ছুটিটা এক সপ্তাহ হলে ভালো হয়। এর বেশি যাওয়া ঠিক হবে না। কারণ আড়াই মাস পরে আরেকটা ঈদ। সেই সময়ও একই অবস্থা হয়। সাত দিনের বেশি ছুটি হলে সেটা আবার অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।’
পুলিশের সাবেক আইজি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে। পরিবারের সবাই একসঙ্গে না গিয়ে যাদের সুযোগ আছে এমন কিছু সদস্যকে আগেই পাঠিয়ে দেওয়া যায়। এতে সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে। লম্বা ছুটি দিলেও মানুষ ছুটি শুরুর প্রথম দিনই বের হতে চায়। আর আসতে চায় শেষ দিনে।’
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ সভাপতি নিজামুল ইসলাম ভূঁইয়া মিলন গতকাল বলেন, ‘ছুটি কম দিলে সবার লোকসান। সরকারের, সাধারণ মানুষের এমনকি ব্যবসায়ীদেরও লোকসান। কম ছুটিতে বাদুড়ঝোলা হয়ে গেলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের প্রাণহানি হয়। এতে সরকারের বদনাম হয়।’ তিনি বলেন, ‘ছুটি কম হলে কিছু মানুষ হলেও কম যায়। এতে পরিবহন ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়। আর সাধারণ মানুষের সবই লোকসান। বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কী কারণে এটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না তা বুঝি না।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত