এবার সবচেয়ে বেশি জিপিএ ফাইভের নেপথ্যে ৩ কারণ
তিন বিষয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে এই পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এটিই সর্বোচ্চ। জিপিএ ফাইভে গতবছরের অটোপাসকেও হার মানিয়েছে।
গত বারের (২০২০) তুলনায় ২৭ হাজার ৩৬২ জন বেশি পরীক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। আর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি ও জেএসসির ফল মূল্যায়ন করে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জনকে এই পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ দেয়া হয়েছিলো।
আর এর আগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের সব বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে এইচএসসি ও সমমানে ৪৭ হাজার ২৪৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ অর্জন করেছিলেন। গত কয়েক বছরের ফল পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এ বারে তিন বিষয়ের পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি জিপিএ ফাইভের নেপথ্যের তিনটি কারণ জানিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
তিনি বলেন, মূলত তিনটি কারণে জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থী বেড়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা, ইংরেজি পরীক্ষা না নেয়া এবং এসএসসি ও জেএসসির ফলে সাবজেক্ট ম্যাপিং।
তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা আয়োজনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে সে সিলেবাস ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পেরেছেন। গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক বিষয়ের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সে বিষয়গুলো আরও ভালো করে পড়তে পেরেছেন। এ কারণে জিপিএ ফাইভ বেশি পেয়েছেন।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ইংরেজি পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল বিবেচনায় সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল দেয়া হয়েছে। ইংরেজি পরীক্ষা নেয়া হলে অনেক শিক্ষার্থী খারাপ করে। এ বিষয়ে পরীক্ষা না নেয়ার ফলে অনেক পরীক্ষার্থী ভালো করেছে।
তিনি বলেন, জিপিএ ফাইভ বাড়ার আর একটি কারণ জেএসসি ও এসএসসির ফল বিবেচনায় সাবজেক্ট ম্যাপিং করে আবশ্যিক বিষয়গুলোতে ফল দেয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অপেক্ষাকৃত ভালো করেছে। আসলে আমরা দেখতে পারি কোন শিক্ষার্থীর সবচেয়ে ভালো ফল থাকে জেএসসিতে। এরপর তুলনামূলকভাবে এসএসসির ফল ভালো থাকে। এ দুইটি পরীক্ষার ফল বিবেচনায় নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করায় ফল ভালো হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত