কর্মচারীদের জুতাপেটা করার শাস্তি, বেতন বাড়বে না
অধস্তন কর্মচারীদের জুতাপেটা, তদন্ত কমিটির কাছে তথ্য গোপন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণের পর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক অধ্যক্ষকে শাস্তি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। লঘুদণ্ড হিসেবে অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান খানের পরবর্তী দুই বছর বেতন বাড়ানো হবে না। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ প্রকাশ করা হয়।
অফিস আদেশে জানানো হয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষর দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে অধস্তন কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ফোন করে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন অধ্যক্ষ। এরপর তাকে বদলি করা হয়। বদলির পর সাধারণ সরকারি আদেশে অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে দাবি করে তা চ্যালেঞ্জ ও কর্মরত ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে দায়িত্বভার হস্তান্তরের বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
শুধু তাই নয়,তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির নিকট সত্য গোপন, অধস্তন কর্মচারীদের জুতাপেটা ও তাদের সঙ্গে হাতাহাতিসহ অনৈতিক ও অনভিপ্রেত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। অভিযোগ প্রমাণের পর তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মোকদ্দমা দায়ের করা হয়।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান খানের গত ৫ জুলাইয়ে লিখিত জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ আগস্ট তার ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ব্যক্তিগত শুনানির সময় সরকার পক্ষের বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর অধিকতর তদন্তের জন্য গত ২৬ আগস্ট কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-সচিব মুহম্মদ হিরুজ্জামানকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা গত ২৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে মো. মোস্তাফিজুর রহমান খানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ এর উপবিধি (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, অভিযোগ প্রমাণের পর সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণে সন্দেহাতীত ও যুক্তিযুক্তভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে একই বিধিমালার বিধি ৪ -এর উপবিধি ২ (খ) অনুযায়ী লঘুদণ্ডের আওতায় তার অনুকূলে পরবর্তী দুই বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত