কূটনীতিকদের যে সুখবর দিলেন সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল কলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশনের নেতৃত্বে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) দেশসমূহের কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
সিইসি বলেন, এখনো কিছু কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। তবে চেষ্টা করে যাবো, যেন সব দলের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। যেন একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘উনারা এসেছেন এটা একটা ট্রেডিশন। আগেও এসেছেন, এরই ধাবাবাহিকতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন-কানুন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো জানিয়েছি। উনারা সাধারণত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর জোর দিয়ে থাকেন। সেজন্যই নির্বাচনটা ইনক্লুসিভ, একসেপ্টেবল, ফ্রি এবং ফেয়ার হলে উনারাও খুশি হবেন, পুরো দেশবাসী খুশি হবে।’
তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব ঘুচবে এবং সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে, প্রতিনিধিদল এমনটিই বিশ্বাস করে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দিকে থেকে নির্বাচন কমিশন হিসেবে যা যা করণীয় করবো। উনারা কমিশনের প্রস্তুতি বিষয়ে প্লিজড। ভবিষ্যতেও প্রয়োজনে যেকোনো সময় তাদের আসতে বলেছি।’
কোনো সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রতিনিধি দল কিছু বলেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘উনারা সহযোগিতার কথা বলেছেন। তবে আমরা চট করেই কিছু বলিনি। আমরা বলেছি, সহযোগিতা লাগবে কি না সেটা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দেখবো। কোনো ট্যাকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা উনাদের জানাবো। আমরা এখনো কোনো সহযোগিতা চাইনি।’
সক্ষমতা বাড়ানোর সহযোগিতা নাকি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করবে, এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সবকিছুই ইলেকশন রিলেটেড। ভোটার অ্যাডুকেশন বা ইসির সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়গুলো সহযোগিতার আওতায় আসতে পারে। তবে আমরা তো এখনো সহযোগিতা চাইনি। প্রয়োজন হলে জানাবো। ফলে কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে কিংবা আদৌ সহযোগিতা লাগবে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, উনারা পর্যবেক্ষকের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, এদিক থেকে কোনো বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে ডিপ্লোমেটিক্যালি আলোচনা করে দেখতে পারেন। নির্বাচনকালীন বিদেশী পর্ববেক্ষকদের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কথা বলতে বলেছি প্রতিনিধিদলকে।
সূত্র : বাসস
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত