কোনোরকমে ১০০ ছুঁয়েছে টাইগাররা
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুর ৩ ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দল। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আজ (শনিবার) ফুরফুরে মেজাজেই খেলতে নামার কথা টাইগারদের। তার ওপর একাদশে নেই কোনও পরিবর্তন। তবে সন্ধ্যাটা ঠিক নিজেদের মতো রাঙাতে পারলো না বাংলাদেশ।
সিরিজের আগের তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। বোলারদের সহায়তায় ম্যাচগুলো জিতলেও তিন ম্যাচেই কোনোরকমে ১২০ রানের কোটা পার করে স্বাগতিক শিবির। চতুর্থ ম্যাচে তো ব্যাটিং বিভাগে ফুটে উঠল আরও দৈন্যদশা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের ইনিংস থামে মাত্র ১০৪ রানে। এদিন কেউই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি।
টি-টোয়েন্টি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড এটি। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে ১১৪ রানে আলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ দল। সব মিলিয়ে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের নবম সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ায় এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের সামনে সুযোগ ছিল স্কোয়াডের বাকি ক্রিকেটারদের পরীক্ষা করার। তবে সে পথে হাঁটেনি টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামে স্বাগতিক শিবির। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি।
সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ব্যর্থ হলেও সৌম্য সরকার আর নাঈম শেখের উপরেই আস্থা রাখে বাংলাদেশ। আগের তিন ম্যাচে ২, ০, ২ রান করে আউট হলেও চতুর্থ ম্যাচে আবার সুযোগ পান সৌম্য। এ ম্যাচেও ব্যর্থ তিনি। ফেরেন ১০ বলে ৮ রান করে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে অজি পেসার জশ হ্যাজেলউডকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বৃত্তের মধ্যে অ্যালেক্স কেরির হাতে ধরা পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন সৌম্য।
সাকিব আল হাসান ছিলেন একেবারেই নিষ্প্রাণ। উইকেটে থিতু হয়েছে খোলস ছেড়ে বের হয়ে পারেননি। হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ১৫ রান করে। ২৬ বল খেলে মাত্র ১টি চার মারেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়া একাদশে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন মিশেল সোয়াপসন। ইনিংসের ১১তম ওভারে জোড়া আঘাতে ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর নুরুল হাসান সোহানকে। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
ততক্ষণে অবশ্য উইকেটের হালচাল বেশ ভালোভাবেই বুঝে ফেলেছেন ওপেনার নাঈম শেখ। তবে মন্থর ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখতে পারেননি তিনিও। সোয়াপসনের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ৩৬ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে। আশা জাগিয়েছিলেন আফিফ হোসেন, তবে তাকে বড় ইনিংস খেলতে দেননি অ্যাগার। আফিফ আউট হন ১৭ বলে ২১ রান করে।
আফিফ যখন আউট হন, তখন ১৬ ওভারে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৭৮ রান। জিম্বাবুয়ে সিরিজে অভিষেক হওয়া শামীম পাটোয়ারী যেভাবে আলোচনায় আসেন মাত্র ২ ইনিংস দিয়ে, তার মান ধরে রাখতে পারছেন না তিনি। আগের ৩ ম্যাচে ২ বার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ তিনি। এ ম্যাচেও হাঁটেন একই পথে। ৬ বল খেলে ৩ রান করে আউট হন শামীম।
পরে শেখ মেহেদী হাসানের ১৬ বলে ২৩ রানের কল্যাণে দলীয় সংগ্রহ কোনোরকম ১০০ রানের সংগ্রহ পার করে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১০৪ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। সিরিজের প্রথম জয় পেতে অস্ট্রেলিয়া দলের প্রয়োজন ১০৫ রান। তবে উইকেটের যে চরিত্র। কাজটি একেবারেই সহজ হবে না ম্যাথু ওয়াডের দলের জন্য।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত