চলতি মাসেই যেসব ব্যাংক নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করবে

| আপডেট :  ১৪ এপ্রিল ২০২২, ০৩:৫৯  | প্রকাশিত :  ১৪ এপ্রিল ২০২২, ০৩:৫৯

ব্যাংকগুলোর মধ্যে আছে ডাচ-বাংলা, সিটি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এবি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এসআইবিএল, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বেধে দেওয়া ন্যূনতম বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ ব্যাংক। চলতি মাসের মধ্যে তারা বাস্তবায়ন করবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, গতকালের মধ্যে (১২ এপ্রিল) ২০ ব্যাংকের বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন বেতন-ভাতা এপ্রিল থেকে দেয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানিয়েছে।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে আছে ডাচ-বাংলা, সিটি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এবি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এসআইবিএল, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক।

এছাড়া আরও ছয়টি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়েছে তবে তাদের নাম পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোর বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানার ৫২টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে চিঠি পঠিয়েছে। যদিও তাদেরকে গতকালের মধ্যে তাদের অগ্রগতি জানানোর জন্য বলা হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, “নতুন বেতন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার ইস্যু করে নির্দেশ সেহেতু এটা ব্যাংকগুলোর পালন করতেই হবে। ইতোমধ্যে ২০টি ব্যাংক জানিয়েছে তারা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও কিছু ব্যাংক বাস্তবায়নের পথে আছে। তবে এপ্রিলের মধ্যে অধিকাংশ ব্যাংকই বাস্তবায়ন করবে।”

এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, “ব্রাক ব্যাংকে ইতিমধ্যে এপ্রিল থেকে নতুন বেতন-ভাতা বাস্তবায়ন করা হবে মর্মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানানো হয়েছে। তবে সকল ব্যাংকই বাস্তবায়ন করবে যেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এটা নির্দেশনা।”

এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক আফজাল বলেন, “এবি ব্যাংক এপ্রিলেই নতুন বেতন-ভাতা বাস্তবায়ন করবে। কারণ কর্মীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির ফলে আমাদের জিডিপি বাড়বে। আমাদের স্পিনিং সক্ষমতা বাড়বে, সিভিলস সক্ষমতা বাড়বে, মানি ফ্লো ভালো হবে। আমাদের যে একটা পদের থেকে আরেকটি পদের অসামঞ্জস্যতা তা দূর হবে। এরকম অসামঞ্জস্যতা একজন কর্মীর মধ্যে হতাশা তৈরি করে।”

এরআগে সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা নির্ধারণ করে গত ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে এবং তা সংশোধন করে পরবর্তীতে ১ ফেব্রুয়ারি আরেকটি সার্কুলার দেওয়া হয়।

এ নির্দেশনায় ব্যাংকের জেনারেল (সাধারণ) শাখার কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন ৩৯ হাজার এবং ক্যাশ শাখার কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন ৩৬ হাজার টাকা বেতন-ভাতা দিতে বলা হয়।

এছাড়া শিক্ষানবিশ কর্মকর্তাদের ন্যুনতম বেতন সাকুল্য ২৮ হাজার টাকা এবং ক্যাশ কর্মকর্তাদের ২৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

ওই সার্কুলারে চতুর্থ প্রজন্মের নয় ব্যাংক এবং নতুন ব্যাংক বেঙ্গল কমার্শিয়াল, কমিউনিটি, সীমান্ত ও সিটিজেন আর দুর্বল দুই ব্যাংক বাংলাদেশ কমার্স ও আইসিবি ইসলামিকের জন্য পৃথক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এর মধ্যে মূল বেতন চলতি বছর এপ্রিল থেকে দিতে এবং ভাতা কার্যকর হবে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে। তবে ব্যাংক চাইলে আগামী এপ্রিল থেকেই বেতন-ভাতা দুটোই দিতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

নতুন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতার সঙ্গে সমন্বয় করে অন্যদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে হবে।এসব ব্যাংকে প্রবেশ পর্যায়ে (এন্ট্রি লেভেল) শিক্ষানবিশ জেনারেল সাইডে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাকুল্য বেতন হিসাবে ন্যূনতম ২৮ হাজার টাকা এবং ক্যাশ কর্মকর্তাদের ২৬ হাজার টাকা দিতে হবে। পুরোনো বেতন কাঠামোর সঙ্গে যে পার্থক্য হবে, তার ৫০ শতাংশ আগামী এপ্রিলে এবং বাকি ৫০ শতাংশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চাইলে আগামী এপ্রিল থেকেই সব বেতন-ভাতা দিতে পারবে।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ দুটি সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন পুঁজিবাজারের ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগকারী ফরহাদ বিন হোসেন; যিনি সুপ্রিম কোর্টেরও আইনজীবী। এ রিটের শুনানি এখনও চলমান রয়েছে আদালতে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত