চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়াদের দুঃখের কথা
চাকরি থেকে অবসরের বয়স বাড়ানোর পরও ধাপে ধাপে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আবার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে মেয়াদ বাড়িয়ে পুনরায় চুক্তিও করা হচ্ছে। ‘চুক্তিভিত্তিক নিয়োগই ক্যারিয়ারে পরম পাওয়া’—এই মন্ত্র নিয়েই কাজ করছেন প্রশাসনের শীর্ষ আমলারা। বয়স শেষে নিজ পদেই বাড়তি কিছু সময়ের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে তদবিরও করেন তারা। এটি যদি না হয়, তাহলে চাকরি শেষে সরকারের হাতে থাকা অনেক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নতুন কোনও একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেতে চান আমলারা। তদবির চলে এখানেও। তাই তো চাকরি জীবনের শেষ অংশে এসে সরকারের নজর কাড়তে ব্যস্ত থাকেন অনেকেই, যদি কোথাও না কোথাও যদি নিয়োগ পাওয়া যায়, এই আশায়।
জানা গেছে, সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেও নিয়োগ পান প্রশাসনে থাকা আমলারা। এর বাইরে বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে বা তাদের দেওয়া সুবিধা নিতে তাদের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী বিভিন্ন স্বাধীন কমিশনের প্রধান হিসেবেও বসছেন চাকরি শেষ করা আমলারা। এসব কমিশনের প্রধান কাজ সরকারের ভুলত্রুটি সংশোধনের ক্ষেত্রে অবদান রাখা। কমিশনের নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রেখে কাজ করা। সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করাও এসব ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশনের কাজ হলেও কমিশনগুলো তা পারছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। কারণ, ২৫ বছর, ৩০ বছর অনুগত থাকার পরে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করার মতো দৃঢ়তা দেখানো কঠিন কাজ। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে এমন ব্যক্তিকেই এসব স্বাধীন কমিশনের প্রধান করা হয়, যাতে কোনও ঝুঁকি তৈরি না করে। এসব ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্য কমিশন উল্লেখযোগ্য। আবার সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবৈধ বা নতুন কিছু নয়। এসব নিয়োগ সরকারের শীর্ষ পদেই বেশি হয়। তবে দক্ষ জনবলের ঘাটতি থাকায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিম্নপদেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। বিভিন্ন সরকারের আমলেই এটি হয়। কখনও বেশি, আবার কখনও কম। তবে এটি ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন সাবেক আমলারা। তারা বলছেন, আইনের কারণে অনেক সময় দক্ষ আমলাকে চাকরি থেকে চলে যেতে হয়। কিন্তু সরকারের প্রশাসনে ওই দক্ষ আমলার সেবা খুবই প্রয়োজন, তাই তার সেবা পেতেই জনস্বার্থে সরকার দক্ষ আমলাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-তে ৪৯ (১) ধারায় অবসর গ্রহণকারী সরকারি কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি, জনস্বার্থে, কোনও কর্মচারীকে, চাকরি হইতে অবসর গ্রহণের পর, সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১)-এর অধীন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী অবসর-উত্তর ছুটি ভোগরত থাকিলে, উক্ত ছুটি স্থগিত থাকিবে এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সমাপ্তির পর উক্ত অবশিষ্ট অবসর-উত্তর ছুটি ও তদসংশ্লিষ্ট সুবিধা ভোগ করা যাইবে।’
এ বিষয়ে সরকারের প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তাদের অভিমত—সত্যিকার অর্থে জনস্বার্থ ছাড়া সচিবসহ কাউকে যেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া না হয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থানে প্রশাসনে কর্মরত অধিকাংশ কর্মকর্তা। তাদের বক্তব্য হলো, এতে প্রশাসনে ক্ষোভ-হতাশা আরও বাড়বে। পদোন্নতি বাধাগ্রস্ত হবে। দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তারা বঞ্চিত হলে সৃষ্টিশীল কাজের প্রতি তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।
এ প্রসঙ্গে সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুল লতিফ মন্ডল (২০২১ সালের ৬ মার্চ ৭৫ বছর বয়সে মারা গেছেন) ২০১৯ সালে তার এক লেখায় বলেছেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবসান হওয়াই ভালো। সত্তর দশক ও পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছে। তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ১৯৭৫ সালের মে মাসের এক আদেশে বলা হয়, যেসব ক্ষেত্রে তুলনীয় যোগ্যতম ও দক্ষতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পাওয়া দুষ্কর, শুধু সেসব ক্ষেত্রেই চুক্তির ভিত্তিতে অবসর গ্রহণের পরও তাদের নিয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে উপর্যুক্ত শর্তগুলো খুব একটা মানা হয়নি। বিশেষ করে গত প্রায় তিন দশকে সরকারি কর্মকর্তাদের দলীয়করণে যে দুটি অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, তা হলো প্রথমত পদোন্নতি আর দ্বিতীয়ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাৎ যেখানে তুলনীয় যোগ্যতাসম্পন্ন লোক পাওয়া সম্ভব, সেখানে এ নীতির উদার প্রয়োগ বাঞ্ছনীয় নয়। ১৯৭৬ সালের নভেম্বরে এক আদেশে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ব্যাপারে ১৯৭৫ সালের উপর্যুক্ত আদেশটির প্রতি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, সংস্থা ইত্যাদির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৯৮২ সালের মার্চ মাসের এক আদেশে তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুনঃনিয়োগ বিবেচনার্থে কয়েকটি শর্ত নির্ধারণ করে দেয়।
এগুলো হলো—(ক) প্রস্তাবিত পুনঃনিয়োগের পদটি কেবল কারিগরি ধরনের হতে হবে। (খ) পুনঃনিয়োগ প্রস্তাবিত কর্মচারীর চাকরি অত্যাবশ্যক হতে হবে। (গ) শূন্যপদে নিযুক্ত করার মতো কোনও কর্মচারী পাওয়া যাচ্ছে না—এরূপ পরিস্থিতি হতে হবে; এবং (ঘ) পুনঃনিয়োগ কনিষ্ঠদের পদোন্নতিতে কোনও বাধা সৃষ্টি করবে না।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা, পেনশন ইত্যাদি নির্ধারণ করে অর্থ বিভাগ ১৯৯২ সালের জানুয়ারিতে একটি অফিস স্মারক জারি করে। এরপর অর্থ বিভাগ ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের বেতন, ভাতা, পেনশন ইত্যাদি নির্ধারণ/পুনর্নির্ধারণ করে আরেকটি অফিস স্মারক জারি করে। এতে অবসর গ্রহণের অব্যবহিত পূর্বে আহরিত বেতন চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত পদের বেতন হিসেবে নির্ধারিত হয়, যা ইতিপূর্বে অনেক কম ছিল।
১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে সরকার গঠনের এক বছর পার না হতেই বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিএনপির প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি করতে এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় তা কাজে লাগাতে ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়োজনীয় শূন্যপদ ছাড়াই বিএনপি সরকার বাংলাদেশ সচিবালয়ের উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে সাতশ’র বেশি কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়।
ডিউটি পদের অভাবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তার অনেকে একবছর বা তার বেশি সময় ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে থাকেন। অর্থাৎ কোনও রকম কাজ না করে তারা বেতন-ভাতা, যানবাহন ইত্যাদি সুবিধা ভোগ করেন, যা সরকারি অর্থের অপচয় বৈ কিছু নয়।
১৯৯২ সালে বিএনপি প্রয়োজনীয় শূন্যপদ ছাড়াই ‘গণপদোন্নতি’র যে নজির সৃষ্টি করে, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগও তা অনুসরণ করে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার শূন্যপদ ছাড়া পদোন্নতি এবং প্রশাসনে দলীয়করণের গতিকে জোরদার করে। বিএনপির ভাবধারায় বিশ্বাসী বা বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল সিনিয়র কর্মকর্তাদের অবসর প্রস্তুতি ছুটি বাতিল করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের অনেকে জোট সরকারের পূর্ণ মেয়াদে চুক্তিতে নিয়োজিত ছিলেন।
সেনাবাহিনী সমর্থিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দলীয়করণে বিএনপির সৃষ্ট রেকর্ড ভঙ্গ করে ফেলে। বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল কর্মকর্তাদের হয় পদোন্নতিবঞ্চিত করা হয়, না হয় ওএসডি করা হয়, না হয় বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়। যাদের ওএসডি করা হয়, তাদের অনেকে বছরের পর বছর সে অবস্থায় থেকে অবশেষে অবসরে চলে যান।
জানা গেছে, বর্তমান প্রশাসনে ১৩ জন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত সচিব রয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের চুক্তির মেয়াদ গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তার চুক্তির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। চুক্তিতে আরও দুই বছর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব থাকছেন ড. আহমদ কায়কাউস। তার পিআরএল ও এই সংশ্লিষ্ট ছুটি স্থগিতের শর্তে এই নিয়োগ দিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর চুক্তিতে এক বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর তাকে এই নিয়োগ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চাকরির মেয়াদ শেষে আগামী ৫ জানুয়ারি আলী নূরের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজাও চুক্তিতে এক বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন। গত ২৮ ডিসেম্বর এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি। ৩০ ডিসেম্বর তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের মেয়াদ ৩০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর তাকে চুক্তিতে আরও দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদের চুক্তির মেয়াদ তিন বছর বাড়ানো হয়েছে। তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ ১১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল। এছাড়া মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। তাকেও চুক্তিতে এক বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূইয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশনগুলো কখনোই স্বাধীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারে না। এর বহু কারণ। এসব কারণ বলাও ঠিক নয়। কারণ, আমি অনেক দিন ধরেই প্রশাসনের বাইরে অবস্থান করছি। তবে প্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবশ্যই জনস্বার্থে সরকার দিতেই পারে। এটি অপরাধ নয়। তবে বেশি হলে প্রশাসনে এর নেতিবাচক প্রভাবও পড়ে। এতে সরকারের কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়। বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই দক্ষ কর্মকর্তাদের সেবা নিতে সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। জনস্বার্থেই এটি প্রয়োজন। তবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দক্ষ না হলে কথা ভিন্ন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, যিনি যেখানে দক্ষ, সেই মানুষটিকে সেখানেই প্রয়োজন। সিঙ্গাপুর ২০ শতাংশ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হতে পারে, অথবা আউটসোর্সিং করে। প্রতিটি দেশে এমন চালু আছে।’ বাংলাদেশে সরকারি চাকুরেরা ৫৯ বছর বয়সে অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে (এলপিআর) যান। ‘৫৯ বছর পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিচারকরা কাজ করতে পারেন ৬৫ বছর পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে ৬৫ বছর পর্যন্ত আমাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে, দেওয়া যায়। জনস্বার্থে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পদ্ধতি মহামান্য রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারভুক্ত একটি বিশেষ ব্যবস্থা, যা বাতিল করার কোনও পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। বর্তমানে ১৫ জন কর্মকর্তা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন। আমাদের কিন্তু মেধাটাকে ব্যবহার করতে হবে দেশের প্রয়োজনে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত