নুর-রেজার রাজনৈতিক দল ‘গণ অধিকার পরিষদ’ যেভাবে চলবে
অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। এর নাম রাখা হয়েছে ‘গণ অধিকার পরিষদ’। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কার্যালয়ে এ নাম ঘোষণা করেন নুরুল হক নুর। এর স্লোগান হচ্ছে ‘জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার’।
দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়াকে। এছাড়া দলটির ৮৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে নুরকে। কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক হয়েছেন রাশেদ খান, ফারুক হাসান, সোহরাব হোসেন, আবু হানিফ ও মাহফুজুর রহমান খান।
‘গণ অধিকার পরিষদ’র মূলনীতি চারটি। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ। এগুলোর ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক কাজ পরিচালিত হবে দলটির। মূলনীতি ও দলের উদ্দেশ্য এবং ২১ দফা পড়ে শোনান রাশেদ খান।
নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা আজকের এই অনুষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে করতে চেয়েছিলাম। যে কারণে ছোট্ট পরিসরে আমরা এটি করছি। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য তো আমরা কারও কাছে অনুমতি নিতে যাবো না। রাজনৈতিক কর্মসূচির অধিকার এদেশের সংবিধান দিয়েছে।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা জায়গা চেয়েছিলাম কিন্তু পাইনি। যার কারণে এখানে ছোট পরিসরে করতে হচ্ছে। আমরা আর কাউকে এজন্য বলিনি। নিরস্ত্র সভা সমাবেশ করার অধিকার এদেশের সংবিধান দিয়েছে। পুলিশের কাছে কিন্তু আমরা অনুমতি চাইনি। আমরা বাইরে একটা সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। যেখানে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। আইনশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার জন্য আমরা বলেছিলাম। জাফরুল্লাহ স্যার-সহ কিছু বিদেশি মেহমান থাকতো, তাদের নিরাপত্তার জন্য চেয়েছিলাম। সেটা তারা সহযোগিতা করেনি। সেজন্য আমরা অল্প পরিসরে অনুষ্ঠান করছি। কিন্তু আন্দোলন সংগ্রাম করার জন্য কারও কাছে আমরা অনুমতি নেবো না। আমরা সেই উত্থান দেখিয়েছি, কোটা সংস্কার আন্দোলনে। ছাত্রসমাজের সঙ্গে কিন্তু আমরা বেইমানি করিনি। দাবি কিন্তু আদায় করছি। তাই আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে শুধু ছাত্রসমাজ না, নানা পেশার মানুষ এখানে আছে, তাদের মাধ্যমেই আগামী দিনে মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করতে পারবো।’
অন্য দলের সঙ্গে জোট গঠন প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন মেনে যারা রাজনীতি করতে পারে, বর্তমান সংকটে যারা রাজনীতির মাঠে লড়াই সংগ্রাম করতে প্রস্তুত, তাদের সঙ্গে নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে জোটগত আন্দোলন হতে পারে। কারণ, এই দায়িত্ব আমাদের একার না, আর আমরা একা পারবো না। সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত