নৌকার টিকিট পাওয়াদের লজ্জার রেকর্ড
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরাই বেশি বিজয়ী হয়েছেন। এ নির্বাচনে লজ্জাকর ফলাফলের বেকর্ড করেছেন অনেক আওয়ামী লীগ প্রার্থী। তারা জামানতও হারিয়েছেন। এরমধ্যে লজ্জার ফলাফল করেছেন ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৬ নম্বর ফলসী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিমাই চাঁদ মন্ডল। তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ৪২টি। ফরিদপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. বজলু মাতুব্বর। তিনি মাত্র ৫৬টি ভোট পেয়ে ১১ প্রার্থীর মধ্যে সপ্তম হয়েছেন। হারিয়েছেন জামানত।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ ধাপে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ৪৯.২৭ শতাংশ ইউপিতে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র-বিদ্রোহী ও অন্যান্য দল ৫০.৭২ শতাংশ ইউপিতে বিজয়ী হয়েছে। গতকাল ইসি প্রকাশিত ৬৯২ ইউপির ফলাফল প্রকাশ করে। ইসি জানিয়েছে, পঞ্চম ধাপে ইসির প্রকাশিত ৯৯২ ইউপির ফলাফলে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ৩৪১টি, স্বতন্ত্র ৩৪৬টি, জাতীয় পার্টি দুটি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি একটি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ একটিতে জয় পেয়েছে।
বিগত চার ধাপের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ৪৮.৫১ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৫১.৪৯ শতাংশ এবং স্বতন্ত্র, জাপাসহ অন্যান্য দল ৪৮.৫১ শতাংশ ইউপিতে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত ৭৯৬ ইউপির ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২৭ ইউপিতে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দেয়নি।
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪৭.০৬ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৫২.৯২ শতাংশ; স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪৪.৯৫ শতাংশ ও জাপাসহ অন্যান্য দল ২.১১ শতাংশ ইউপিতে জয় পেয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৪২ শতাংশই পরাজিত হয়েছেন। যদিও প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ৭৩.৪৮ শতাংশ বিজয়ী হয়েছিলেন। আর ওই ধাপে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন ২৪.২২ শতাংশ ইউপিতে। গত ১১ নভেম্বরের দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৫৮.২৭ শতাংশ জয়ী হয়েছেন। বাকি ৪১.৭৩ শতাংশ নৌকার প্রার্থী নিজ দলের বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র (বিএনপি), অন্যান্য দলের প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৩৯.৫৬ শতাংশ। তাদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত নেতারাও আছেন।
প্রথম ধাপে গত ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বরের ভোটে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ৭৩.৪৮ শতাংশ ইউপিতে জয়ী হন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন ২৪.২২ শতাংশ ইউপিতে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় লজ্জার ফল করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শ্রী নিমাই চাঁদ ম ল। তিনি ৯টি কেন্দ্রে মাত্র ৪২ ভোট পেয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।
এ ছাড়া ঝিনাইদহের শৈলকুপার ৯টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে সাতটি নৌকা ও দুটি বিদ্রোহী জয় পেয়েছেন। ফরিদপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. বজলু মাতুব্বর। তিনি মাত্র ৫৬টি ভোট পেয়ে ১১ প্রার্থীর মধ্যে সপ্তম হয়েছেন। খুঁইয়েছেন জামানত। এ ছাড়া ফরিদপুরের সদরপুর ও মধুখালী উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং নৌকা প্রতীকের পাঁচ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। কুষ্টিয়া সদরের ১১ ইউনিয়নের মাত্র একটিতে জিতেছেন নৌকার প্রার্থী। আটটিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। একজন জাসদ, একজন বিএনপি প্রার্থী জয় পেয়েছেন। বগুড়ার শেরপুরের গাড়ীদহ মডেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্র্থীর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ চারজনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শেরপুরের ঝিনাইগাতীর সাতটির মধ্যে দুটিতে জিতেছে নৌকা, পাঁচটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী। শ্রীবরর্দীর একটিতে জিতেছে নৌকা। সিলেটের জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ছয়টি আওয়ামী লীগ, দুটি বিদ্রোহী, দুটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, স্বতন্ত্রের ব্যানারে তিনটি জামায়াত, দুটি বিএনপি এবং একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয় পেয়েছেন। জাতীয় পার্টির ওই নেতা দলীয় প্রতীক ছাড়াই স্বতন্ত্রের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেন।
গোপালগঞ্জের ১৫ ইউপিতে কোনো দলীয় প্রতীক ছিল না। রাজশাহীর ১৮ ইউনিয়নের ফলাফলে আওয়ামী লীগ ছয়, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা ছয় ও বিএনপি নেতারা ছয় ইউনিয়নে বিজয়ী হন। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ১০টি ইউনিয়নে চারটিতে নৌকা এবং বিদ্রোহী জয়ী হয়েছেন তিনটিতে। বিএনপি দুটি এবং জামায়াত একটিতে জয়ী হয়। কুমিল্লার ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটি ইউনিয়নে নৌকা, ১০টিতে নৌকার বিদ্রোহী জয়ী হন। বাকি তিনটিতে বিএনপি, জামায়াত সমর্থিতরা বিজয়ী হন। এরমধ্যে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নে নৌকা ও চারটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। একটিতে নৌকা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০টি ইউপির চারটিতে নৌকার প্রার্থী, চারটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া আশুগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউপির দুটিতে নৌকার প্রার্থী, পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হন। ফেনী সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সব চেয়ারম্যন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তবে সাত ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা একক প্রার্থী হিসেবে আগেই নির্বাচিত হন। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে ছয়টিতে আওয়ামী লীগের ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় তিনটিতে নৌকা ও চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সাতক্ষীরার আশাশুনি, শ্যামনগর ও কলারোয়া উপজেলার মোট ১৬ ইউপিতে আওয়ামী লীগ ১০, বিদ্রোহী চার, বিএনপি এক এবং জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী একটিতে জয় পেয়েছেন। মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পাঁচটি ইউপির মধ্যে নৌকা দুই, স্বতন্ত্র দুই ও এক ইউপির ফলাফল স্থিগিত রয়েছে।
যশোরে সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের মধ্যে ১১টিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে কেশবপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ছয়টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় হয়েছেন। নাটোরের নলডাঙ্গা ও গুরুদাসপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ফলাফলে আওয়ামী লীগের চার জন, বিদ্রোহী ছয়জন ও বিএনপির স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। দিনাজপুরের ২০টি ইউপিতে নির্বাচনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ ১০টি, স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী একটি ও বিএনপি ছয়টি, অন্যান্য তিনটি বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। টাঙ্গাইলের ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন সাতজন। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নে চারটি আওয়ামী লীগ, দুটি বিদ্রোহী ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বাকি তিনটির মধ্যে দুটি বিএনপির সতন্ত্র প্রার্থী ও একটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
পাবনার বেড়ার সাতটি ও ফরিদপুরের ছয়টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন আটটি ইউপিতে আর নৌকার প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন পাঁচটি ইউপিতে। এর মধ্যে বেড়া উপজেলার সাতটির মধ্যে ছয়টিতেই বিদ্রোহীদের কাছে ক্ষমতাসীন দলের নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। নেত্রকোনার দুই উপজেলা মদন এবং কেন্দুয়ার ২১টি ইউনিয়নে নৌকা ১১টিতে এবং স্বতন্ত্র ১০টিতে জয়ী হয়েছে। ডোমারে নৌকাকে ডুবিয়ে বিদ্রোহী ও বিএনপির প্রার্থীদের জয়-জয়জাকার। নির্বাচনে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে নৌকার, তিনটিতে নৌকার বিদ্রোহী, তিনটিতে বিএনপি এবং একটিতে সতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। চট্টগ্রামের তিন উপজেলার ২৪ ইউনিয়নে বিনাভোটেসহ ১৮ জন নৌকা প্রতীকে এবং পাঁচজন স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নির্বাচনে পাঁচটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। পাঁচটির মধ্যে তিনটিতে দ্বিতীয় স্থান পেলেও ভোটের ব্যবধান ছিল অনেক বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবধান ছিল গুনাহার ইউনিয়নে। ভোলা সদর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ৯টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অপর দিকে স্বতন্ত্র তিনজন মূলত আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। জয়পুরহাটের পাঁচবিবির পাঁচ ইউনিয়নে চারটিতেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বাকি এক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ১৫ ইউনিয়নের মধ? ১১টিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বাকি চারটির মধ্য তিনটিতে নৌকা ও একটিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেন।
নান্দাইল উপজেলায় ১১ ইউনিয়নে পাঁচটি ইউনিয়নে নৌকা এবং ছয়টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতেই নৌকার পরাজয় হয়েছে। আর রৌমারীর তিনটি ইউপির মধ্যে শৌলমারী ইউপিতে এবং রাজিবপুরের তিনটি ইউপির মধ্যে কোদালকাটি ইউপিতে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ছয়জন, বিএনপি সমর্থিত ছয়জন এবং দুজন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। চাঁদপুরের কচুয়া, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলায় ২৯ ইউনিয়ন ১০ ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কা এবং ১৯ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। পিরোজপুরের পাঁচটি ইউনিয়নের তিনটিতে নৌকা, একটিতে বাইসাইকেল এবং অন্যটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। মানিকগঞ্জে ২১ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ১৩, বিদ্রোহী তিন, বিএনপি তিন ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর জয় হয়েছে। নওগাঁর তিনটি উপজেলার ২৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৩টি, বিদ্রোহী চারটি ও স্বতন্ত্র দুটি এবং চারটি ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত রয়েছে। সিরাজগঞ্জের ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে কাজিপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ১১ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আর ভোটের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের চারটি ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ, দুটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী এবং সদরের একটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি, চাটখিল ও বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১২, বিদ্রোহী চার, জামায়াত এক, বিএনপি এক ও জাসদের এক প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বান্দরবানে তিনটির মধ্যে একটি আওয়ামী লীগ, অন্য দুটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। গাইবান্ধায় তিন উপজেলার ১৬ ইউপিতে নৌকা জয় পেয়েছে আটটিতে। বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছেন পাঁচটিতে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি একটি করে ইউপিতে জয় লাভ করেছে। ঢাকার সাভার উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে নয়টিতে নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বাকি দুই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত