প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলে হাইকোর্টের রুল
কোটা প্রথা বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রার্থীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। তার সঙ্গে ছিলেন সৈয়দা শাহিন আরা লাইলী। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশী মো. তারেক রহমান গত বছর এ রিট করেন।
আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, গত বছরের ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিফতর সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বহাল রেখে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। কিন্তু ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর ৯ম থেকে ১৩ম গ্রেড পর্যন্ত কোটা প্রথা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পরবর্তীতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর গত ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা আর পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে উক্ত প্রজ্ঞাপনের ৮ম অনুচ্ছেদে বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩ম গ্রেড পর্যন্ত কোটা প্রথা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত