মোবাইল বৈধ কিনা যেভাবে চেক করবেন
অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি মোবাইল ফোন চুরি সংক্রান্ত অপরাধ কমাতে পরীক্ষামূলকভাবে এনইআইআর চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
নতুন এ পদ্ধতিতে অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্ত বা নকল আইএমইআই নম্বর চিহ্নিত করা যাবে। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) উদ্যোগে এই ডাটাবেজ নির্মিত হয়েছে।আপনার মোবাইল ফোনটি অবৈধ কিনা তা যাচাই করতে প্রথমে হ্যান্ডসেটটির আইএমইআই বের করতে হবে। এটি আপনি মোবাইল ফোনের সঙ্গে থাকা প্যাকেটে বা সেটের কাভার বা ব্যাটারি খুললে পাবেন।
এভাবে না পাওয়া গেলে *#০৬# ডায়াল করুন। ডায়াল করতে কোনো খরচ হবে না। এটি ডায়াল করলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ১৫ সংখ্যার আইএমইআই নম্বর দেখতে পাবেন। পরবর্তী ব্যবহারের জন্য নম্বরটি লিখে রাখুন। চলুন জেনে নেয়া যাক কি করে যাচাই করবেন।
হ্যান্ডসেট ক্রয় বা বিক্রয়ের পূর্বে গ্রাহকের করণীয়-
১ জুলাই হতে যে কোন মাধ্যমে (বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, ই-কমার্স) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে নিম্ন বর্ণিত উপায়ে বৈধতা যাচাই করার পাশাপাশি ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
ধাপ-১: মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখুন। উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345
ধাপ-২: IMEI নম্বরটি লিখার পর ১৬০০২ নম্বরে প্রেরণ করুন।
ধাপ-৩: ফিরতি ম্যাসেজ এর মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা অথবা উপহারপ্রাপ্ত হ্যান্ডসেট এবং অন্যান্য যে সকল হ্যান্ডসেটর তথ্য এনইআইআর এ পাওয়া যাবে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্কে সচল করে দশ দিনের মধ্যে অনলাইনে তথ্য/দলিল দিয়ে নিবন্ধন করতে এসএমএস দেয়া হবে। উক্ত সময়ে যথাযথ নিবন্ধন করলে হ্যান্ডসেটটি বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
বিদেশ থেকে ক্রয়কৃত বা উপহারপ্রাপ্ত মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া-
ধাপ-১: neir.btrc.gov.bd লিংকে ভিজিট করে আপনার ব্যক্তিগত একাউন্ট রেজিস্টার করুন।
ধাপ-২: পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট এর IMEI নম্বরটি দিন।
ধাপ-৩: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এর ছবি/স্ক্যান কপি (যেমন: পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশন তথ্যাদি, ক্রয় রশিদ ইত্যাদি) আপলোড করুন এবং Submit বাটন-টি প্রেস করুন।
ধাপ-৪: হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ না হলে এসএমএস এর মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে পরীক্ষাকালীন সময়ের জন্য নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। উক্ত সময় অতিবাহিত হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এই সেবা নেওয়া যাবে। বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে শুল্ক বিহীন সর্বোচ্চ দুইটি এবং শুল্ক প্রদান স্বাপেক্ষে আরও ছয়টি হ্যান্ডসেট সাথে আনতে পারবে।
ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া-
ধাপ-১: মোবাইল হ্যান্ডসেট হতে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।
ধাপ-২: স্ক্রিনে প্রদর্শিত অপশন হতে Status Check অপশন সিলেক্ট করুন।
ধাপ-৩: অটোমেটিক বক্স আসলে হ্যান্ডসেট এর ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে প্রেরণ করুন।
ধাপ-৪: হ্যাঁ/না অপশন সম্বলিত একটি অটোমেটিক বক্স আসলে হ্যাঁ Select করে নিশ্চিত করুন।
ধাপ-৫: ফিরতি মেসেজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
বর্তমানে বিটিআরসির ডাটাবেজ এ সকল মোবাইল অপারেটর থেকে প্রাপ্ত আইএমইআই নম্বর এর মাইগ্রেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বিধায়, আগামী ১৫ জুলাই ২০২১ এর পর হ্যান্ডসেট যাচাই করার অনুরোধ করা হলো।
নিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া-
পরীক্ষামূলক সময়কালে তিন মাস ডি-রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই হ্যান্ডসেট হস্তান্তর করা যাবে। উল্লেখ্য যে, একজন গ্রাহক নিজ নামে রেজিস্ট্রিকৃত যে কোন সিম দিয়ে যে কোন হ্যান্ডসেট ব্যবহার করতে পারবে। পরীক্ষামূলক সময় অতিবাহিত হলে ডি-রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত