শূন্য পদের নিয়োগে নতুন নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি
সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্য পদ পূরণের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এই পরিপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
পরিপত্র অনুযায়ী, শূন্য পদ পূরণের ক্ষেত্রে অহেতুক দেরি ও সময়ক্ষেপণ ও বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক জটিলতা এড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি চাকরির শূন্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্রের বিধান থাকায় জটিলতা তৈরি হয়। এই জটিলতা এড়াতে নতুন নির্দেশনায় নিয়োগ সহজীকরণ করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও এর অধীনস্থ দপ্তর/পরিদপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থা/স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার/করপোরেশনসমূহে বিদ্যমান রাজস্বখাতভুক্ত সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্য পদ পূরণের পূর্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র গ্রহণের বিধান প্রচলিত ছিল।
এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বরের পরিপত্রে রাজস্বখাতের শূন্য পদ পূরণ দ্রুততর করার লক্ষ্যে কিছু শর্ত সাপেক্ষে শূন্য পদ পূরণের জন্য ছাড়পত্র প্রদানের দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে স্ব স্ব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের ১০ শতাংশ পদ সংরক্ষণ করতে হবে মর্মে উক্ত পরিপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের ২৮ মে’র পরিপত্র অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছয় মাসের মধ্যে সংরক্ষিত শূন্য পদে উদ্বৃত্ত কর্মচারীকে আস্তীকরণের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান না করে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে উক্ত শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করতে পারবে। তবে সংরক্ষিত শূন্য পদ পূরণের পূর্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে মর্মে উক্ত পরিপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, ছাড়পত্র দেওয়ার পর শূন্য পদ পূরণে অহেতুক দেরি ঘটে ও অহেতুক সময়ক্ষেপণে বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হয়।
প্রশাসনিক জটিলতা এড়ানোর জন্য এবং প্রশাসনকে গতিশীলকরণের স্বার্থে রাজস্ব খাতভুক্ত সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্য পদসমূহ পূরণার্থে ছাড়পত্র আদেশ সংগ্রহের পর যে সব প্রক্রিয়া অনুরসণ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আবশ্যিকভাবে শূন্য পদসমূহ পুরণ করতে হবে:
ক. সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ের মাধ্যমে পূরণীয় পদসমূহের ক্ষেত্রে ছাড়পত্রের বৈধতার মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই বছর হবে। তবে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় যদি কোনো কারণে সুবিধাজনক সময়সীমার মধ্যে সুপারিশ পাঠাতে অসমর্থ হয়, তবে সুপারিশ পাঠানোর পর থেকে এক বছরের মধ্যে পদসমূহ পূরণ করতে হবে।
খ. মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধীনস্থ দপ্তর/পরিদপ্তর/অধিদপ্তর/বিভাগ/জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং করপোরেশন কর্তৃক সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্রের বৈধতার মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর।
গ. ছাড়পত্রের বৈধতার মেয়াদের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার সব রকম আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত নিয়োগ দিতে হবে।
ঘ. নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শূন্য পদ পূরণে অসমর্থ হলে নতুন করে ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সুপারিশ পুনরায় গ্রহণের প্রয়োজন হবে না।
ঙ. মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/সংস্থা/স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং কর্পোরেশনের রাজস্ব খাতের সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্য পদে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র প্রদানের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পদ পূরণে অসমর্থ হলে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ছাড়পত্র প্রদানকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ ছাড়পত্রের মেয়াদ ছয় মাসের পরিবর্তে এক বছর পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত