সরকারি চাকুরেদের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশনা
মহামারি করোনার কারণে সরকারি চাকরিজীবীদের গত বছরের বার্ষিক গোপনীয় রিপোর্ট (এসিআর) নিজ নিজ অধিদপ্তরে বা ডোসিয়ার সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষের দপ্তরে জমা দিতে পারেনি। এ কারণে জমা দেয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এ বিষয়ে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের কাছে একটি জরুরি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, করোনার কারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ২৩ মে গোপনীয় অনুবেদন দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ডোসিয়ার সংরক্ষণকারীর দপ্তরে পৌঁছানোর সময় গত ৩০ জুন বৃদ্ধি করেছিল। মহামারি দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে বিরাজমান বিশেষ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরকৃত গোপনীয় অনুবেদন ডোসিয়ার সংরক্ষণকারীর দপ্তরে বিলম্বে পৌঁছেছে বা পৌঁছাচ্ছে।
এমন অবস্থায় গত ৩০ জুন পর্যন্ত দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরিত গোপনীয় অনুবেদন ডোসিয়ার সংরক্ষণকারীর দপ্তরে বিলম্বে পৌঁছানোর বিষয় প্রমার্জন করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাপ্ত গোপনীয় অনুবেদন সঠিক হিসেবে গণ্য হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ডোসিয়ার সংরক্ষণকারীর দপ্তরে প্রাপ্ত গোপনীয় অনুবেদন ‘গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা-২০২০’ এর ৩.৪.৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে হবে।
উল্লেখ্য বিষয়টি কেবল ২০২০ সনের সংশ্লিষ্ট সকলের এসিআরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা-২০২০’ এর ৩.৪.৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক অন্য কোনো নির্দেশনা না থাকলে কোনো বছরের সিআর (গোপনীয় অনুবেদন) পরবর্তী বছরের এপ্রিল মাসের পরে ডোসিয়ার সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষের দপ্তরে পাওয়া গেলে তা সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।
এক্ষেত্রে অনুবেদনাধীন কর্মচারী যথানিয়মে সিআর দাখিল করলে এবং প্রমাণক যাচাই শেষে তার কোনো ত্রুটি না থাকলে তাকে অব্যাহতি দিয়ে তার পূর্ববর্তী তিন বছরের প্রাপ্ত সিআরের গড় নম্বর দেয়া হবে। তবে পূর্ববর্তী সিআরের সংখ্যা তিন বছরের কম হলে প্রাপ্ত সিআরের ভিত্তিতে গড় নম্বর দেয়া হবে। তবে আগের কোনো সিআর না থাকলে (জমা দেয়ার পর হারিয়ে গেলে) ৯৪ নম্বর দিতে হবে বলে অনুশাসনমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত