হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা, নিরাপত্তায় পুলিশ
হেলিকপ্টারে চড়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে গিয়ে বিয়ে করলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এক নেতা। বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে সাবেক ওই নেতা হেলিকপ্টার থেকে নেমে ঘোড়ায় চড়ে কনের বাড়িতে যান। রাজকীয় সাজে থাকা বরের হাতে তলোয়ারও দেখা যায়।
উৎসুক লোকজনের ভিড় সামলাতে ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে ছিল পুলিশ।
বিয়ের জমকালো আয়োজন করে আলোচনায় আসা বর হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিদওয়ান আনসারি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকান মুন্সেফপাড়ার আনসারি বাড়ির এ আর আনসারি বাবরু ও রোকসানা আনসারি পপির ছোট ছেলে তিনি।
শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকান অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বোর্ডিং এর মাঠ থেকে তিনি হেলিকপ্টারে যাত্রা শুরু করেন। প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর বাজারে বরের হেলিকপ্টার অবতরণ করে। সেখান থেকে তিনি ঘোড়ায় চড়ে কনের বাড়ি সুহিলপুর গ্রামে যান।
কনে তামান্না খানম চাঁদনী সুহিলপুর গ্রামের আক্তার খানের মেয়ে। তিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। কনের বাড়িতেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পরে হেলিকপ্টারে চড়েই বর-কনে অন্নদা বোর্ডিং মাঠে আসেন।
বরের বড় ভাই রাইয়ান আনসারি রিকি জানান, তাঁরা দুই ভাই, কোনো বোন নেই। রিদওয়ান আনসারি রিমো ছোট ভাই। তাই আদরের ছোট ভাইয়ের বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে হেলিকপ্টারে করে বরযাত্রা ও কনে নিয়ে আসার আয়োজন করা হয়। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়। ছোট ভাইয়ের খুব ইচ্ছে ছিল বিয়ের দিন কনের বাড়িতে হেলিকপ্টারে যাবে। সেই আশা পূরণ করা হয়।
কনের গ্রাম সুহিলপুরের বাসিন্দা ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ভূইয়া বলেন, ‘হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের আয়োজনে গ্রামের উৎসুক লোকজন হেলিকপ্টার ও বর-কনেকে দেখতে ভিড় জমান। গ্রামবাসীর মধ্যে এ সময় আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছিল বলে স্থানীয় বিভিন্ন জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় আমি বিয়েতে যেতে পারিনি। তবে বিষয়টি শুনেছি। ‘
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহিম জানান, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। কৌতূহলী ও উৎসুক লোকজনের ভিড় সামলাতে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত