মিশা ভাই আর আমি স্বামী-স্ত্রীর মতো ছিলাম: জায়েদ
![](https://ajkerkhobor.net/wp-content/uploads/2022/01/j-2.jpg)
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান। জয়ের পর শনিবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে এসে তিনি বললেন, ‘আমি জয়ী হলেও জয় উদযাপন করতে পারছি না। আমার সভাপতি মিশা সওদাগর ভাই পরাজিত হয়েছেন। ওনার জন্য আমার মন খারাপ। কারণ আমরা বিগত চার বছর স্বামী- স্ত্রীর মতো ছিলাম।’
শুক্রবার এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন। ২০২২-২৪ মেয়াদি এই নির্বাচনে সভাপতি পদে একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে ৫৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন মিশা সওদাগর।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুনকে হারিয়ে জিতেছেন জায়েদ খান। কিন্তু জয়ী হলেও মন খারাপ তার। সেটা তার প্যানেলের সভাপতি মিশা সওদাগরের জন্য।
জায়েদ খান বলেন, ‘মিশা সওদাগরের সঙ্গে আমার চার বছরের যাত্রা। এই চার বছর মিশা ভাই আর আমি স্বামী স্ত্রীর মতো ছিলাম। আমার আর তার মধ্য দারুণ বোঝাপড়া। আমরা একে অপরের কাজের পাল্সটা বুঝতে পারি। তার জন্য খুবই মন খারাপ আমার।’
এদিকে বেশ কিছু ভোট বাতিল হওয়ায় পরাজিত প্রার্থী নিপুন আবার ভোট গণনার জন্য আপিল করেছেন। সেই সঙ্গে দাবি করেছেন, প্রশাসন ভোটে অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছে।
এমন দাবির বিষয়ে জায়েদ বলেন, ‘ভোটের পর পরাজিত হলে এমন অনেক কথা উঠে। এগুলো নিয়ে আমি ভাবছি না। নিয়ম অনুযায়ী এগুলো সুরাহা হবে। তবে খুব সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে। ভোটের পরিবেশ নিয়ে সব শিল্পীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।’
শনিবার ভোরে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন। তিনি জানান, ভোট বাতিল হয়েছে ১০টি।
সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২১৯) ও মাসুম পারভেজ রুবেল (১৯১)। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন সাইমন সাদিক (২১২)। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাহানুর (১৮৪) ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী (২০৫) জয়ী হয়েছেন। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামনুন ইমন (২০৩) জয়ী হয়েছেন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন আরমান (২৩২) এবং কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন আজাদ খান (১৯৩)।
এ ছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে অঞ্জনা সুলতানা (২২৫), রোজিনা (১৮৫), অরুণা বিশ্বাস (১৯২), সুচরিতা (২০১), আলীরাজ (২০৩), মৌসুমী (২২৫), চুন্নু (২২০) আর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের ফেরদৌস (২৪০), কেয়া (২১২), জেসমিন (২০৮) ও অমিত হাসান (২১৭)।
নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন পীরজাদা হারুন। কমিশনের দু’জন সদস্য হলেন, জাহিদ হোসেন ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। আর মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন আপিল বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত