খালেদা জিয়াকে হঠাৎ বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতের চিঠি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে পত্র পাঠিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) জাপানের রাষ্ট্রদূত এবং বুধবার (১৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের হাইকমিশনার এ পত্র পাঠান।বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুর সাত্তারের বরাত দিয়ে
চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার কোভিড-১৯ সংবাদ পেয়ে তার শারীরিক সুস্থতা কামনা করে জাপানের রাষ্ট্রদূত এবং পাকিস্তানের হাইকমিশনার পত্র পাঠিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা রোববার (১১ এপ্রিল) বলেন, ‘খালেদা জিয়া করোনা পজিটিভ হয়েছেন।
এ বিষয়ে আমাদের কাছে কাগজপত্র আছে।’ পরে ওইদিন বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন।
এদিকে বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের রক্তের বায়োকেমিক্যাল স্যাম্পলের রিপোর্ট হাতে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে রাতে জরুরি মেডিকেল বোর্ড আহ্বান করা হয়েছে। তিনি বলেন, র’ক্তের বায়োকেমিক্যাল স্যাম্পলের রিপোর্টে কোনো ত্রু’টি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আক্তারুজ্জামান: গাজীপুরের একজন নারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপর একজন নারী চিকিৎসকের আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি তার ক্ষোভ ঝেড়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যম চাইলে নিউজ করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গাজীপুরের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া ইয়াসমিন তমা তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে জানান, সম্প্রতি তিনি রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। তিনি অন্য সাধারণ রোগীর মতোই সেখানে যান। কিন্তু তার সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয় তা মোটেই শোভনীয় নয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া ইয়াসমিন তমার শনিবার রাতে (গত ১৪ই সেপ্টেম্বর) লেখেন-
‘আমি সাধারণত নিজের কর্মস্থলের বাইরে ডাক্তার দেখালে পরিচয় দিয়ে যাই না, কথা প্রসঙ্গে পরিচয় বের হলে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আজ জনমের মত শিক্ষা হলো, জীবনে আর কোথাও যাই করি, এদেশে ডাক্তার দেখাতে গেলে নিজের পরিচয় না দিলে কোন কোন ডাক্তারের কাছে মান-ইজ্জত তো থাকবেই না, বরং কুকুর-বিড়ালের মত আচরণ পেতে হতে পারে। যদিও সব ডাক্তার এক রকম নয়।’
তিনি লেখেন, ‘আজ ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে গাইনী বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডক্টর কোহিনূর বেগম (প্রাক্তন অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ) এর কাছে পরামর্শের জন্য গিয়েছিলাম। প্রথমে একজন সহকারি রোগের কথা শুনে সামারি লিখে নিলেন, খুব ভালো। কিন্তু ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে দেখি, তিনি অন্য রোগী দেখছেন। ডাক্তার এতই ব্যস্ত যে, একজন আয়া এসে আমার কাছে আমার রোগ সম্পর্কে জানতে চাইলেন। আয়াটার কাজ হচ্ছে, রোগের ‘র’ টা শুনবে,
আর অমনি রোগীকে শুইয়ে দিয়ে রোগীর কাপড় খুলে নিবে। আমি বললাম, আমার কি করতে হবে না হবে, তা ডাক্তার এসে বলুক, আপনি এমন করছেন কেন? আয়া মহাশয়ার জবাবের টোন শুনে মনে হচ্ছে, তিনি কোন লাট বাহাদুর হবেন। অতঃপর ডাক্তার এসে জানালেন, তার এত সময় নেই আমাকে চেক করার, এসে বসে কথা বলতে বললেন। তিনি যখন কথা বলা শুরু করলেন, তখন মনে হল তার জিহবার সাথে একটা চাকু লাগানো আছে। রোগের কথা যা-ই বলি, তিনি তেলে বেগুনে তেতে উঠছেন।
ক্ষুব্ধ তমা আরও লেখেন, ‘ফ্রি তো দেখাতে যাইনি, সার্ভিস দিতে এত রাগ হয়, টাকাটা নিতে লজ্জা করে না? আমরা জাতি হিসেবে কবে মানুষ হব? সততা অনেক বিশাল ব্যপ্ত একটি বিষয়; শুধু ঘুষ না খাওয়া মানেই যে সততা নয়। যে কাজের জন্য টাকা নিচ্ছি, সেটা ঠিকমতো না করলে যে ঐ টাকা হালাল হয় না, টেবিলের ওপাশে সেবা নিতে আসা মানুষটার সাথে দুরাচরণ করাটা কত বড় পাপ, তা আমরা কবে বুঝতে শিখবো?’
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া ইয়াসমিন তমা জানান, ধানমন্ডি পপুলার এর ডক্টর কোহিনূর বেগম, গাইনোকোলোজিস্ট। তার চেম্বারে আয়া এসে রোগ জিজ্ঞেস করে, ডাক্তার এর সময় বাঁচানোর জন্য, কি রোগ সেটা ডাক্তার শোনার আগেই আয়া এসে রোগীর কাপড় খুলে নেয়। এটা কেমন কথা? রোগীকে কাপড় খুলতে হবে কিনা, সেটা তো ডাক্তার বলবে তাই না?
আর ডাক্তারের আচরণে মনে হচ্ছে তিনি ফ্রি চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাই তার সময় নেই, মেজাজ খারাপ। অথচ, এক হাজার টাকা ফি টা যখন নিলেন তিনি, তখন লজ্জা করলো না! রোগী হিসেবে তিনি তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত