৯ম পে কমিশন ও মহার্ঘ ভাতার নতুন খবর

| আপডেট :  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৩  | প্রকাশিত :  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৩

বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই স্লোগানে “রংপুর বিভাগীয় ঐক্য পরিষদ” এর উদ্যোগে জাতীয় বেতন স্কেলের ১১-২০ গ্রেডের চাকুরীজীবিদের জন্য পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বতীকালীন সময়ে ৫০% মহার্ঘ ভাতা ঘোষনা প্রদান, বৈষম্য মুক্ত ৯ম পে-স্কেল প্রদানের লক্ষ্যে পে-কমিশন গঠন, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূনর্বহাল ইত্যাদি ০৭ দফা দাবিতে আগামী ০১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে নিজ নিজ জেলার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার আহবান জানানো হয়েছে সংগঠনটির ফেসবুক পাতায়।

সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ১১-২০ গ্রেড খুবই শোচনীয় অবস্থা পার করছে। প্রতিবছর মূল্যস্ফিতির হার গড়ে প্রায় ৬% যেখানে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পায় মাত্র ৫% ফলে প্রতিবছর প্রায় ১% ঘাটতি থাকায় গত ৬ বছরে ৬% নেগেটিভ এ চলে গেছে কর্মচারীদের বেতন ভাতা। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও বাড়িভাড়া মূল্যের সাথে বেতন ভাতা দিন দিন অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাজারের সাথে কোনভাবে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন ভাতা দৌড়ে পেরে উঠছে না। তাছাড়া জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধির সাথে সাথে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে অক্ষম হয়ে পড়ছে কর্মচারীদের আয়। চলতি বছরে দ্রব্যমূল্য প্রায় ৫০% পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

তবে পদোন্নতি বৈষম্য, টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড বহাল, গ্রেড ব্যবধান কমালে অবশ্যই কর্মচারীদের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটাতে ঋণের বোঝা মাথায় নিতে হতো না। ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীগণ যে পরিমান বেতন পান তাতে সংসার চালাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে, প্রয়োজন মেটাতে তাদের ঋণের দারস্থ হতে হচ্ছে। পে স্কেলের সংস্কারের জন্য ২০১৭ সালে কমিটি গঠন করা হলেও তা আলোর মূখ দেখেনি। জাতীয় বেতন স্কেল সংস্কার করে ১০টি গ্রেডে আনয়ন করা হলে, গ্রেড ব্যবধানে সমতা আনয়ন করা হলে মোট কথা কর্মচারীদের ৭ দফা দাবী অর্থাৎ নিম্নোক্ত দাবীগুলো পূরণ করা হলে তাদের ব্যাংক বা এনজিওগুলোর দারস্থ হয়ে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাত পার করতে হতো না।

জাতীয় বেতন স্কেলের ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরীজীবীদের বেতন বৈষম্য নিরসনসহ ০৭ দফা দাবিসমূহ হল:

১. পে-কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন সময়ে ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে।
২. ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘােষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
৩. সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়ােগ বিধি প্রণয়ন করতে হবে।
৪. টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহাল এবং সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির ৫. পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচ্যুটি/আনুতােষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচ্যুইটি ১ টাকায় = ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
৫. সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়ােগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ। আউট সাের্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত ৭. পদ্ধতিতে নিয়ােগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে।
৬. ব্লক পােস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পরপর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করতে হবে, এছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়ােজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যদা দিতে হবে।
৭. বাজার মূল্যের উর্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পূণঃনির্ধারণ করতে হবে।। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারন করতে হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত