জামাতের কব্জায় এলজিইডি: অভিযোগের শেষ নেই প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মহসিনের বিরুদ্ধে

| আপডেট :  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৬  | প্রকাশিত :  ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫৬

অভিযোগের শেষ নেই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনের বিরুদ্ধে, স্বজনপ্রীতি দূর্নীতি স্বেচ্ছচারিতা সবই তার দ্বারা সম্ভব বলে বিচারের দাবি উঠেছে গত বেশ কিছুদিন যাবত । যেখানে প্রধান প্রকৌশলীসহ তার সিন্ডিকেটের লোকজন দিয়ে এলজিইডিকে ২০ বছর পিছনে নিয়ে গেছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলন কারীরা অভিযোগ কারণ, তাঁরা আরও বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এলজিইডির বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প/মাস্টাররোলে নিয়জিত প্রায় ৩৮৩২ জন কর্মচারী দীর্ঘ ২৫/৩০ চাকুরী করা কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করনের আদেশ সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন না করে মোটা অংকের ঘুষ-বাণিজ্য করার জন্য নতুন ভাবে সার্কুলার দিয়ে কর্মচারী নিয়োগ করছে।

এসব অপকর্মের সহযোগী হিসেবে প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনকে সহযোগিতা করছেন তারা হচ্ছে মোঃ নুর হোসেন হাওলাদার (অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী) পল্লী অবকাঠামো ও উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা ইউনিট, মোঃ মোখলেসুর রহমান (অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী) মনিটরিং, অডিট প্রকিউমেন্ট ও আইসিটি ইউনিট, মোঃ নুরুল হুদা (অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী) পানি সম্পদ ইউনিট, শেখ মুজাক্কা জাহের (অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী) নগর ব্যবস্থাপনা ইউনিট জানা যায় মোঃ নুরুল হুদা একসময় রাজাকার ছিল এবং জামাতের সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল বলে গুঞ্জন রয়েছে এরা কমবেশি সবই জামাতের লোক তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: শফিকুর রহমান (প্রশাসন) (শৃঙ্খলা ও তদন্ত শাখা), মোঃ শরিফ উদ্দিন (শৃঙ্খলা ও তদন্ত শাখা) তারা জামায়াতে এজেন্ট বাস্তবায়ন করছেন ।

এমনকি তারা প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন লোকের দোহাই দিয়ে অপকর্ম করছেন বলেও অভিযোগকারীদের দাবী। অভিযুক্ত, প্রধান প্রকৌশলী সহ সকলের সম্পদের সুষ্ঠ তদন্ত করে দুর্নীতির সকল অর্থ সম্পদ সরকার কোষাগারে জমা নেওয়ার ও জোর দাবী জানান। তারা আরও বলেন যে, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় পূর্বের আন্দোলনকে স্থগিত করেন এই দুর্নীতিবাজ সেখ মোহাম্মদ মহসিন । জামাতের সিন্ডিকেট থেকে এলজিইডি কে বাঁচানোরও জোর দাবী করেন।

আরো জানা যায় তিনি অতিরিক্ত আরো এক বছর বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে তদবির করছে । প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন নিজেকে একজন সৎ বলে মনে করলেও আসলেই তিনি কি সৎ, প্রশ্ন উঠেছে সরকারী উন্নয়ন মূলক কাজের কাজ না করে তিনি নিজের আখের ঘোচানোর কাজেই ব্যস্ত আছেন বলে রয়েছে। সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরেও তিনি অতিরিক্ত আরো ৩টি গাড়ী ব্যবহার করেন নিজ পরিবারের জন্য গাড়ীগুলো ব্যবহার করেন হচ্ছে।

ঢাকা-মেট্রো-ঘ-২১-০২৮১, ঢাকা মেট্রো-ঘ-২১-১৪০৯, ঢাকা মেট্রো-গ ৩৯-৬৩১২ এই ৩টি গাড়ী তিনি ১টি স্ত্রী লুবনা আলম চৌধুরী,১ টি কন্যা ফাইরুজ বিনতে মহসিন, ১টি কন্যা ফাররিন বিনতে মহসিন, ব্যবহার করেন যার প্রতিদিনের তেল, ড্রাইভার সহ যাবতীয় খরচ এলজিইডি থেকে বহন করা হয়ে থাকে, এর পরও তিনি দাবী কারণ তিনি একজন সৎ কর্মকর্তা । আরো জানা যায় যে তিনি প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার পরে এখনো ১টিও প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেননি, যে ২/১ টি প্রকল্প পাশ হয়েছে তাও আবার আগের প্রকল্পগুলো। তিনি এমন একজন প্রধান প্রকৌশলী যিনি তার অধীনে কর্মরত তাদেরকে কখনোই বসতেও বলেন বা চা খেতেও বলেন না বলে অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান । এসব কারণেই কোন কর্মকর্তা তার রুমেও যান না । ” সরকারী সার্কুলার অনুযায়ী জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলার নিয়ম থাকলেও তিনি তা বলেন না এবং বলতেও নারাজ এটা অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানেন। সিরিয়াল ব্রেক করে অনেকেই প্রমোশন দিয়েছেন । অফিসিয়ালি মিটিং বাদ দিয়ে তিনি ভার্চুয়াল মিটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন ।

এছাড়াও বেশ কিছু প্রমোশনও দিয়েছেন পিডি হিসেবে অথচ ৯৪ ব্যাচের কোনো কর্মকর্তার কোন খোঁজ নেই, তাঁরা জুনিয়র হিসেবেই কাজ করছেন তাদের কয়েকজনের নাম নিম্নে দেওয়া হলো, মি. বাবুল আক্তার (ব্যাচ ৯৯)- পিডি ঢাকা বিভাগ প্রকরণ প্রকল্প । সুশান্ত রঞ্জন (ব্যাচ ৯৯)- পিডি বরিশাল ঝালকাটি পিরোজপুর প্রকল্প । আবু জাফর সিকান্দার (ব্যাচ৯৯)-সেতু প্রকল্পের পিডি । জিল্লুর রহমান (ব্যাচ৯৯) পিডি কোভিড-১৯। আব্দুর রহিম (ব্যাচ ৯৯) পিডি বন্যা প্রকল্প । ফজলে হাবীব (ব্যাচ ৯৯) আমিনুর রশীদ চৌ।(ব্যাচ৯৯) একটি প্রকল্পের পিডি মামুনুর রশীদ (ব্যাচ ৯৯) চউ- ঈজজওচ মিঃ কামরুজ্জামান (ব্যাচ ৯৫) চউ-জঈওচ জিএম মজিবর রহমান (ব্যাচ ৯৫) রংপুর গ্রামীণ ইনফ্রাস্ট। এএসএম কবির (ব্যাচ ৯৫) পিডি-যশোর প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে।

নিয়ম বহির্ভূত নিজ এলাকার বেশ কিছু মসজিদ ও কবরস্থান নিয়েছেন সীতাকুণ্ড যা ডিপিপি বহির্ভূত। তিনি ক্ষমতার মসনদে বসে প্রথমেই আউট সোর্সিং (এলকেএস্এস) এর নিয়োগ বন্ধ করেন, যা পূর্বের কোন প্রধান প্রকৌশলী এ কাজটি করেননি । তিনি নিজে এবং তার জামায়াত সেন্ডিকিটের কাছে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ ২০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন বলে বেশীর ভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারী মনে করেন । নতুন নিয়োগ বাণিজ্য নকল করার ভিডিও ফুটেজও আছে। সিনিয়র কর্মকর্তাদের ঢাকার বাহিরে বদলী এবং জুনিয়ার কর্মকর্তাদের ঢাকায় বসিয়ে কাজ কর্ম পরিচালিত কারণ ।

প্রধান প্রকৌশলীর আরেক সহযোগী তত্ববধায়ক প্রকৌশলী প্রশাসন মোঃ শফিকুর রহমান এলজিইডিতে মূর্তিমান আতঙ্ক । প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তাকে নিজের আত্নীয় পরিচয় দিয়ে একজন মস্ত বড় কর্মকর্তা সেজে আছেন। তিনি মন্ত্রীর এপিএস,পিএস তারা সবাই তার লোক বলে পরিচয় দেন। তাদের নির্দেশেই নাকি তিনি কাজ করেন। তার এসব অপকর্ম সারাদেশের এলজিইডি অফিস আগত আছে। কুষ্টিয়া এলজিইডি অফিসের এক কর্মকর্তার বদলীলে কেন্দ্র করেও মোঃ শফিকুর রহমান নতুন নাটক সাজিয়ে বলেন যে আদেশ পরিবর্তন করতে স্বয়ং মন্ত্রী লাগবে।

তেলবাজ কর্মকর্তার শেখ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মন্তব্য প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ, আসসালামু ওয়ালাইকুম। বিগত ১২টি বছর আমরা শত চেষ্টা করেও কর্মী পদে নিয়োগ দিতে পারি নাই। কারণ সবারই জানা, সরিষার মধ্যেই ভুত ছিলো। এছাড়া হেভি ওয়েট প্রাক্তন অফিসারদের ইন্দন ছিলো -যাতে করে সংস্থাটিকে হেভিওয়েটগনই একমাত্র যোগ্য ছিলেন -সেটি প্রমাণ করবার জন্য। পরম দয়ালু আল্লাহ পাক এলজিইডি এর দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। ইনশাল্লাহ আমরা সকল বাঁধা পেরিয়ে সুযোগ্য নেতৃত্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছি, যা ইনশায়াল্লাহ অব্যাহত থাকবে। যাঁদের জন্য আমরা পিছিয়ে গিয়েছি-তাঁদের কাছে আমার ব্যক্তিগত প্রশ্ন- এলজিইডির মত দক্ষ, অধিদপ্তরকে নিয়োগ দিতে না দিয়ে – জেদ পালন তাছাড়া তাঁদের কি লাভ হয়েছে? উন্নত, এলজিইডি মাঝের কয়টি বছর আমরা ভুলে যেতে চাই। সুযোগ্য প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন স্যারসহ অতি: প্রধান প্রকৌশলীবৃন্দ ও প্রশাসন ইউনিটকে আউরিক কৃতজ্ঞতা।

অব্যাহত থাকুক এ নিয়োগ প্রক্রিয়া – অব্যাহত থাকুক উন্নয়ন। আল্লার কাছে এ কামনা করে ইতি টানছি। প্রধান প্রকৌশলী ও তার সহকর্মী ও সহযোগী অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে অশেষ ধন্যবাদ। এতবড় একটি কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করার জন্য প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্ব কে সাধুবাদ জানাই। অন্য এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মন্তব্য শেখ মহসিনকে তেল পুরোটাই ঢেলে দিয়েছে শেখ নুরুল। কি আর বলব! নুরুলের কথার ভিতর থেকেই প্রশ্ন ওঠে! গত ১২ বছরের মধ্যে আজাদের নাম কি বাদ যাবে? নিশ্চয়ই নয়। আবুল কালাম আজাদ প্রধান প্রকৌশলী থাকাকালে তাঁর ভাইকে এই শেখ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) নিজে কনসালটেন্সি কাজ দিয়েছিল দুর্নীতির মাধ্যমে। তিনি আরো এক বছর অতিরিক্ত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ও মন্ত্রনালয়েও জোড় তদবির করছে এ ব্যপারে প্রধান প্রকৌশলীর মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেয়নি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত