বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর যে প্রযুক্তিতে ১০০ বছরেও ধরবে না মরিচা

| আপডেট :  ১১ অক্টোবর ২০২২, ০৯:২৮  | প্রকাশিত :  ১১ অক্টোবর ২০২২, ০৯:২৮

উত্তাল যমুনার বুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ ঘিরে চলছে কর্মযজ্ঞ। নতুন প্রযুক্তির লোহা আর কংক্রিটের সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে এই সেতু। অত্যাধুনিক স্প্যানও বসছে সেতুটিতে। এগিয়ে চলছে দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর কাজ।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সেতুতে আলাদাভাবে রং করার প্রয়োজন হবে না। এই প্রক্রিয়াটি বেশ টেকসই। এতে আগামী ১০০ বছরেও সেতুর কাঠামোয় মরিচা ধরবে না। এমনকী আবহাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাবে গার্ডারের রং।’

সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে নদীর দুই পাড়ে দুই প্যাকেজে চলছে এই সেতুর নির্মাণকাজ। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী আর কর্মীদের তত্ত্বাবধানে রাতদিন সমান তালে চলছে পাইলিং ও সুপার স্ট্রাকচার বসানোর কাজ। এরই মধ্যে সেতুর ৪৭ ও ৪৮ নম্বর পিলারের ওপর স্থাপন করা হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ স্প্যান।

প্রকল্পের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (টাঙ্গাইল অংশ) আব্দুল খালেক জানান, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা উন্নতমানের বিশেষ ধরনের বড় বড় স্টিলের কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে স্প্যানগুলো। এরই মধ্যে প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছে। এখন দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর কাজ চলছে।

প্রকল্পের নিরাপত্তা কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, এখানে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের সার্বিক নিরাপত্তায় রাতদিন কঠোর নজরদারি চলছে।

সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ সূর্য বলেন, যমুনার বুকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণের মাধ্যমে আমরা নতুন আশার আলো দেখছি। কেননা ট্রেনে মালামাল বহন অনেকটা সহজ ও সাশ্রয়ী। এতে সিরাজগঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে দিনে মাত্র ৩৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

এ পর্যন্ত সেতুর ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেতুটিতে মোট ৫০টি পিলার থাকবে। স্প্যান বসানো হবে ৪৯টি। এর নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত