বেতন কম হওয়ায় অন্য চাকরিতে চলে যাচ্ছেন প্রাথমিকের মেধাবী শিক্ষকরা

| আপডেট :  ০১ অক্টোবর ২০২২, ০৯:০৭  | প্রকাশিত :  ০১ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৫৭

সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এখানে চার লাখের বেশি শিক্ষক কর্মরত আছেন। ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের অপেক্ষায়। ২০২০ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগবিধি পরিবর্তন হয়ে প্রধান এবং সহকারী শিক্ষকদের স্নাতক যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি, অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার কিছুদিন পরই অন্য চাকরিতে চলে যাচ্ছেন। অন্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরের নিয়োগ যোগ্যতা হিসেবে যেখানেই স্নাতক চাওয়া হয়েছে সেখানে শুরুতেই একজন কর্মচারী দশম গ্রেড পাচ্ছেন। কিন্তু একমাত্র প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান এবং সহকারী শিক্ষক নিয়োগবিধিতে যোগ্যতা স্নাতক আর গ্রেড ১৩তম। বিশ্বায়নের এই যুগে প্রাথমিক শিক্ষার মতো একেবারে শিক্ষার মূল ভিত্তিতে যখন অবহেলা আর অবজ্ঞা দৃশ্যমান তখন জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত জাতির স্বপ্ন দেখা অমূলক।

স্নাতক যোগ্যতায় একই ব্যক্তি যখন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরে যাবেন তাঁর শুরুতেই বেতন গ্রেড দশম আর প্রাথমিকের শিক্ষক হলে বেতন গ্রেড ১৩তম। একই ব্যক্তি স্নাতক যোগ্যতায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হলে তাঁর গ্রেড হবে দশম আর প্রাথমিক শিক্ষক হলে ১৩তম। একই ব্যক্তি স্নাতক যোগ্যতায় মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক হলে তাঁর বেতন গ্রেড হবে দশম আর প্রাথমিক শিক্ষক হলে তার বেতন ১৩তম। স্নাতক যোগ্যতায় ১৩তম গ্রেড রেখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগবিধি ছাড়া আর কোনো মন্ত্রণালয় বা দপ্তর-পরিদপ্তরে নিয়োগবিধি এমন নেই।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সবিনয়ে নিবেদন করছি যে প্রাথমিক শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানের করতে হলে গ্রেড বৈষম্য দূর করুন। দেশের অন্যান্য বিভাগের নিয়োগবিধির সঙ্গে মিল রেখে ন্যায্যতার ভিত্তিতেই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগবিধি সংশোধন করে দশম গ্রেড প্রদান করে মেধাবীদের ধরে রাখুন।

মো. জামিল বাসার
শিক্ষক, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত