সরকারি চাকুরেদের চিকিৎসার জন্য অনুদান প্রাপ্তির নতুন নিয়ম

| আপডেট :  ১০ অক্টোবর ২০২২, ১২:৫৮  | প্রকাশিত :  ১০ অক্টোবর ২০২২, ১২:৫৮

বিকেকেবি কি কি সুবিধা প্রদান করে? – প্রতিমাসে বেতনের সময় সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা কর্তনের বিনিময়ে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড সাধারণ চিকিৎসা অনুদান, জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদান, কল্যাণভাতা/ যৌথবীমা/দাফন অনুদান, শিক্ষাবৃত্তি/সহায়তা (রাজস্ব), শিক্ষাবৃত্তি(কল্যাণ), স্টাফবাস কর্মসূচী ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করে থাকে। বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বছরে একবার মাত্র চিকিৎসা অনুদানের জন্য আবেদন করা যায়। বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চিকিৎসার ২(দুই) বছরের মধ্যে আবেদন করা যাবে। কর্মকর্তা কর্মচারী নিজে আমৃত্যু এবং পরিবারের সদস্যগণ কর্মকর্তা কর্মচারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত এ অনুদান প্রাপ্য হবেন।

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের রূপকল্প ও অভিলক্ষ্য? প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সেবাপ্রদানের লক্ষ্যে বোর্ডকে একটি দক্ষ, যুগোপযোগী ও তথ্য-প্রযুক্তিসমৃদ্ধ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা এবং বিভিন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের অসামরিক কাজে নিয়োজিত বোর্ডের অধিক্ষেত্রের সকল কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবারবর্গের কল্যাণ সাধনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে।

সরকারি কর্মচারীদের জন্য চিকিৎসা অনুদান অন্যতম একটি সেবা– সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় কর্মরত, অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত, মৃত কর্মকর্তা কর্মচারির নিজ ও পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রতি বছরে একবার চিকিৎসা সাহায্য হিসেবে ৪ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ সর্বোচ্চ টাঃ ৪০,০০০/- প্রদানের বিধান আছে। কর্মকর্তা কর্মচারী নিজে আমৃত্যু এবং পরিবারের সদস্যগণ কর্মকর্তা কর্মচারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত এ অনুদান প্রাপ্য হবেন।

সন্তান জন্ম / সিজারিয়ান ব্যয়ের বিপরীতে ট্রিটমেন্ট অনুদান পাওয়া যাবে কি? / পরিবারের যে কোন সদস্যের চিকিৎসার পর ব্যয়ে মেটাতে কি অনুদানের আবেদন করা যাবে? আপনার স্ত্রী বা নিজের সিজার ও বাচ্চার চিকিৎসা ব্যয়ের অনুদান এবং পরিবারের যে কোন সদস্য অসুস্থ্য হলে সকল বিল ভাউচার ও ব্যবস্থাপত্রাদি যুক্ত করে আপনি প্রতিবছর একবার সাধারণ চিকিৎসা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সিজারিয়ান চিকিৎসার অনুদান ২০২২

সিজারিয়ান চিকিৎসা ব্যয়ে ১০ হাজার টাকা অনুদান এ মাত্র ২ মাসের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। ব্যয় যদি আপনার ৩০ হাজার টাকা মধ্যে হয় তবে ১০ হাজার টাকা অনুদান এবং ব্যয় যদি ৪০-৫০ হাজার হয় তবে ১৬ হাজার টাকা অনুদান এবং যদি ৬০-৯০ হাজার টাকা ব্যয় হয় তবে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান পাওয়া গিয়েছে।

প্রথমত আপনি “সাধারণ চিকিৎসা অনুদানের আবেদন ফরম” এই লিংক হতে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে সুন্দর ভাবে নিজ হাতে লিখে পূরণ করে ফেলুন। দ্বিতীয়ত, আপনি আপনার সকল প্রকার ঔষুধের ভাউচার, ব্যবস্থাপত্র, প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট তারিখ অনুসারে সাজিয়ে ক্রমিক নং, তারিখ, বিবরণ ও ভাউচার নম্বর দিয়ে ছক আকারে তালিকা তৈরি করুন এবং তালিকার নিচে সকল কাগজপত্র গুছিয়ে গেথে ফেলুন।

তৃতীয়ত, অফিস প্রধান বরাবর পূরণকৃত আবেদন ফরম যথাস্থানে প্রেরণের একটি আবেদনপত্র দাখিল করুন। অফিস কর্তৃপক্ষ অফিসের অবস্থান অনুসারে একটি অগ্রায়নপত্র বা ফরওয়ার্ডিং দিয়ে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে পাঠিয়ে দিবে। চতুর্থত, মাথায় রাখবেন, অরিজিনাল ছাড়পত্র, ভাউচার যুক্ত করতে হবে। ব্যবস্থাপত্র ও রিপোর্ট ফটোকপি হলেও হবে। পে ফিক্সেশনের কপি সার্ভিসবুক থেকে ফটোকপি করে নিবেন। সমস্ত ফটোকপি কাগজপত্র, ছবি সত্যায়িত করে নিবেন এবং অরিজিনাল কাগজপত্রগুলো অফিস প্রধান বা গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা ভেরিফাই করিয়ে নিবেন। বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড চিঠি হাতে হাতে গ্রহণ করে না তাই ডাকের মাধ্যমে প্রেরণ করুন। কারও সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই, সব ঠিক থাকলে ২-৩ মাসের মধ্যে অনুদান আপনার ব্যাংক হিসাবে আসবে।

সিজারিয়ান বা চিকিৎসা ব্যয়ের আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে?

আবেদনের সঙ্গে প্রয়ােজনীয় যে সমস্ত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে- ০১। ডাক্তারী ব্যবস্থাপত্রের সত্যায়িত কপি (অফিস প্রধান সংশ্লিষ্ট অফিসেরদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক); ০২। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ ক্রয়ের মূল ভাউচার; ০৩। ক্লিনিক বা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকলে ক্লিনিক বা হাসপাতালের মূল ছাড়পত্র; ০৪। ভাই/বােন বা পিতা/মাতার ক্ষেত্রে নির্ভরশীলতার প্রত্যয়নপত্র; ০৫। খরচের হিসাববিবরণী(কর্মচারীর স্বাক্ষর সহ); ০৫। জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫-এ বেতননির্ধারণ ফরমের ভেরিফিকেশন নম্বরের জন্য বেতননির্ধারণ ফরমের ফটোকপি। ০৬। আবেদন ফরম www.bkkb.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

আবেদনপত্র কোথায় পাঠাতে হবে?
ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে: মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ১ম ১২ তলা সরকারি অফিস ভবন, ১১তলা), সেগুনবাগিচা, ঢাকা এবং ঢাকা বিভাগের ক্ষেত্রে পরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, ১ম ১২ তলা সরকারি অফিস ভবন (৩য় তলা) সেগুনবাগিচা, ঢাকা। চট্টগ্রাম বিভাগের ক্ষেত্রে: পরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, সরকারি কার্য ভবন-১, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। রাজশাহী বিভাগের ক্ষেত্রে: পরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহী। (ঙ) খুলনা বিভাগের ক্ষেত্রে পরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, বয়রা, খুলনা। বরিশাল বিভাগের ক্ষেত্রে: পরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, কাশিপুর, বরিশাল। সিলেট বিভাগের ক্ষেত্রে: পরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, আলমপুর, সিলেট। রংপুর বিভাগের ক্ষেত্রে পরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, রংপুর। ময়মনসিংহ বিভাগের ক্ষেত্রে: উপপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ময়মনসিংহ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত