আওয়ামী লীগ নেতা কে বাংলাদেশ আসলে হত্যার হুমকি

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয় গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ । এরপর থেকে হামলার ভয়ে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছিলেন। ৬ মাসেরও বেশি সময় পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ায় তাদের কেউ কেউ এখন নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।
তবে বাড়ি ফেরার জন্য তাদেরকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হচ্ছে। যারা টাকা দিচ্ছেন না, তাদেরকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকী কোনো কোনো জায়গায় তারা হামলার শিকারও হয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
টাকা দিয়ে সম্প্রতি এলাকায় ফিরেছেন বা ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে-আওয়ামী লীগের তৃণমূলের এমন বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা হলে তারা এসব অভিযোগ করেন। আর এ নিয়ে বিবিসি বাংলা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিবিসি বাংলার বরাতে জানা যায়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের কেউই নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে চান না, এমনকি এলাকার নামও উল্লেখ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে এলাকায় ফিরতে কাকে কত টাকা দিতে হয়েছে এবং ফেরার পর কী অবস্থায় দিন পার করছেন, সেই অভিজ্ঞতা তারা জানিয়েছেন।
তৃণমূলের এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘ঘর থেকে বের হতে পারছিনা। সারাদিন ঘরেই থাকতে হচ্ছে।’
এ ছাড়া হামলার হাত থেকে বাঁচতে বিএনপিসহ এলাকার প্রভাবশালীদেরকে টাকা দিতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাড়ি-ঘরে ফেরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। অবশ্য বিএনপি নেতারা অভিযোগটি অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এলাকায় ফিরতে শুরু করলেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বেশিরভাগ নেতা এখনও ‘আত্মগোপন’ রয়েছেন। এর মধ্যে অনেকে দেশ ছেড়েছেন, ‘দেশ ছাড়ার চেষ্টাকালে’ কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
দেশের বাহিরে যুক্তরাজ্যে থাকেন গত প্রায় ৪ বছর ধরে রিপন মিয়া।এক সময় বাংলাদেশ থাকাকালীন ছিলো আওয়ামী লীগের সমর্থক। কিন্তু গত চার বছর ধরে আছেন প্রবাসে।ইদানিং তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশ ফেরত আসলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
রিপন মিয়ার সাথে আজকের খবরের কথা হলে তিনি জানান “আমাকেই ফেইসবুক সহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ফেরত না যেতে বলা হয়।আর যদি বাংলাদেশ যাই তাহলে তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে।আমি এই বিষয় টা নিয়ে অনেক আতংকিত। ”
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত